Advertisement
Advertisement
Bangladesh

যত পরিবর্তনই হোক, বাংলাদেশের পাশেই থাকবে চিন, বার্তা চিনা রাষ্ট্রদূতের

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ করলেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন।

China stands besides Bangladesh in every situation says envoy

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ করলেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন। নিজস্ব চিত্র।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 25, 2024 6:14 pm
  • Updated:August 25, 2024 6:14 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, বাংলাদেশের পাশেই থাকবে বলে জানিয়ে দিল চিন। আজ, রবিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ কথা জানান।

ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের সংস্কার ও উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, উভয় পক্ষের মধ্যে হওয়া চুক্তি ও ঐকমত্য বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত চিন।” সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। এ সময় চিনা রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অভিনন্দন জানান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলের মেসোশ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়া! ‘প্রেমিকে’র সঙ্গে রাত কাটানোর পর উদ্ধার মহিলার দেহ]

ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, চিন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে চিনের অঙ্গীকার অপরিবর্তিত রয়েছে।” তিনি দারিদ্র্যমুক্ত ও গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থনের উপর গুরুত্ব দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, “চিন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে। বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে উন্নয়নের জন্য যে পথ বেছে নেবে চিন তাতে সম্মান জানাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে ঐক্য, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিষয়গুলো উপলব্ধি করবে বলে আশাবাদী।”

রাষ্ট্রদূত ওয়েন আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে চিন দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। চিন ও বাংলাদেশ উভয়ই উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। চিন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা ত্বরান্বিত, চিন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ চুক্তি অনুকূল, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করবে এবং চিনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে সহায়তা করবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, “২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা চিন-বাংলাদেশ ইয়ার অব পিপল টু পিপল এক্সচেঞ্জ আয়োজন ও কার্যক্রম পরিচালনায় চিন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

[আরও পড়ুন: কাঠ কুড়োতে গিয়ে গণধর্ষণ-খুনের শিকার বধূ! বিষ্ণুপুরের জঙ্গল উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ]

ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর এটিই রাষ্ট্রদূত ওয়েনের প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে গত বুধবার চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চিনের সহযোগিতা, আগামী বছর ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হবে। বাংলাদেশ উন্নয়ন প্রকল্পে চিনের অংশীদারিত্ব, কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক কো-অপারেশন এগিয়ে নেওয়াসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ড. ইউনূসকে চিন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement