সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পাশে দাঁড়াল চিন৷ মায়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ফেরাতে ঢাকাকে সবরকম সহায়তাদানের আশ্বাস দিল জিনপিং প্রশাসন৷ নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এতদিন মনে করা হচ্ছিল, এই ইস্যুতে মায়ানমারকে সমর্থন করছে চিন৷ কিন্তু এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে চিন জানিয়ে দিল, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ঢাকাকে সমস্তরকম সাহায্য করবে বেজিং৷
বাংলাদেশে চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত জাং জুও বুধবার বিকেলে ঢাকার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মহম্মদ জয়নাল আবেদিন চিনের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমি নিজে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। জোর করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা দেখেছি। চিন তাদের নিরাপদে ফেরাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে৷ বাংলাদেশে নিজের কাজের মেয়াদ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য চিনা রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চিনের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার। এই সম্পর্ক ধাপে ধাপে সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক চিন সফর এবং তার আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য, এই সফর বাংলাদেশ ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চিন সরকারের সহযোগিতার আশ্বাসের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশাপ্রকাশ করেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নাগরিকরা অনতিবিলম্বে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে নিজেদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে সক্ষম হবে। জুও বাংলাদেশে কাজ করাকালীন তাঁর দায়িত্ব পালনে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমনিতেই রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জেরবার হাসিনা প্রশাসন৷ রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে মায়ানমারের সাহায্য চাইলেও, তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ তবে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, চিন-সহ একাধিক প্রতিবেশী দেশ৷ রাষ্ট্রসংঘও বাংলাদেশের উপর থেকে রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে তৎপর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.