সুকুমার সরকার, ঢাকা: ৬০০ টাকা কেজি! লঙ্কার ঝালে মুখ পুড়ছে বাংলাদেশের। ইদের পরের দিন হু হু করে বাড়ল হেঁশেলের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তুটির দাম। ফলে, বাজারে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগছে আমজনতার পকেটে।
সাধারণত উৎসবের মরশুমে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার দেখা গেল উলটো ছবি। বৃহস্পতিবার ইদ শেষে পণ্যের দাম তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের পশ্চিমের জেলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর জেলার পূর্ব দিকে কুষ্টিয়া জেলার খোকসায় ইদের দিন প্রতি কিলো কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকা। ইদের পরের দিন আজ শুক্রবার খুচরো বাজারে প্রতিকিলো কাঁচালঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা করে। বৃহস্পতিবার এই উপজেলা সদরে খুচরো বাজারে প্রতিকেজি কাঁচালঙ্কা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা করে।
খুচরো ব্যবসায়ী উৎপল সাহা বলেন, “ইদের দিন ২০০ টাকা করে লঙ্কা বিক্রি করেছিলাম। আজ সকালে ৫২০ টাকা কিলো কিনেছি। এখন ৬০০-৬৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। যেমন কেনা, তেমন বিক্রি।” কাঁচামালের আড়তদার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “খরার কারণে মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। ইদের জন্য মোকাম থেকে মরিচ আসেনি। ছেলেকে কাঁচালঙ্কা কিনতে ফরিদপুর জেলায় পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক বস্তা কিনে এনেছি।” উপজেলা নির্বাহী আধিকারীক রিপন বিশ্বাস বলেন, “পত্রিকায় কাঁচালঙ্কার বিভিন্ন দাম দেখছি। খোঁজ নেওয়া হবে।”
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি গোলাম সারোয়ার সানু জানান, উৎপাদন কমে গেলে দাম বেড়ে যায়- এটা স্বাভাবিক। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারের শতকরা ১০ টাকার বেশি পার্থক্য হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শতকরা ২৫ টাকার বেশি দিয়ে লঙ্কা কিনছেন ক্রেতারা। বাজারে মনিটরিং না থাকার কারণে সুবিধা নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.