Advertisement
Advertisement

Breaking News

Shamima IS

জেহাদি বধূ শামিমার নাগরিকত্বের পক্ষে আদালতের রায়ে তোলপাড় ব্রিটেন, পালটা মামলা সরকারের

নভেম্বরের ২ দিন ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য শুনবে আদালত।

British Govt. will appeal opposing IS member Shamima's citizenship to the court
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 10, 2020 4:50 pm
  • Updated:September 10, 2020 4:52 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক IS সদস্য শামিমার নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ব্রিটেনে (Britain)। আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর পাঁচজন বিচারপতির এজলাসে নিজেদের বক্তব্য পেশ করবে ব্রিটিশ সরকারি পক্ষ। আপিল আদালত জানিয়েছে, শামিমার নাগরিকত্বের অধিকার রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিহীন হতে পারেন না। নিরাপত্তার জন্য ওই মহিলা ঝুঁকির হলে ব্রিটেনে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারে।

জেহাদি বধূ শামিমাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে তার নাগরিকত্ব (Citizenship) বাতিল করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। তাকে ব্রিটেনে প্রবেশেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শামিমা আদালতে যায়। গত জুলাইয়ে আপিল আদালত আদেশে বলে, তিনি দেশে ফিরতে পারবেন। শামিমার জন্ম ব্রিটেনে। তার বাবা-মা বাংলাদেশি। ২০১৫ সালে স্কুলে পড়ার সময় সে পালিয়ে সিরিয়া চলে যায়। সেখানে আইএসে যোগ দেয়। পরে সেই সংগঠনেরই একজন জেহাদিকে বিয়ে করে। ২০১৯ সালে সিরিয়ার বন্দি শিবিরে তার খোঁজ পাওয়া যায়। জানা যায়, সেখানে তার তিন সন্তান মারা গিয়েছে। তার ডাচ স্বামী নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরে গেছে। তবে নেদারল্যান্ডস শামিমাকে গ্রহণ করতে আপত্তি তোলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সামরিক অভিধান’ থেকে ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেওয়ার পরামর্শ শেখ হাসিনার]

এর আগে ব্রিটিশ আদালত জানায়, জেহাদি বধূ শামিমা বেগম দেশে ফিরে নাগরিকত্ব খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন। উত্তর সিরিয়ায় সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ) পরিচালিত আল রোজ নামে একটি আশ্রয় শিবিরে রয়েছে শামিমা বেগম। ২০১৯ সালে এই খবর প্রকাশ্যে আসতে নিরাপত্তার স্বার্থে শামিমার নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয় ব্রিটেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই জেহাদি বধূকে দেশে ঢুকলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়ে দেয় ঢাকাও। ফলে সিরিয়া থেকে বেরনোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। এবার ব্রিটিশ আদালতের রায়ে আপাতত ব্রিটেনে ফেরার সুযোগ পেয়েছে শামিমা।

[আরও পড়ুন: চিনের ছক বানচাল! দূরত্ব কমিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসছে ভারত-বাংলাদেশ, টুইট বিদেশমন্ত্রীর]

কিন্তু শামিমাকে নিয়ে আপিল আদালতের রায়ে ফাঁপড়ে পড়েছে বরিস জনসন প্রশাসন। গোড়া থেকেই ব্রিটিশ সরকার সাফ জানিয়ে আসছিল যে তারা শামিমাকে দেশে ফেরাতে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু আদালতের রায়ে এবার ওই জেহাদি বধূকে লন্ডনে আনতে হবে। এদিকে, শামিমাকে ব্রিটেনে ফেরানো নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। আদালতের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব সাজিদ জাভেদ। ২০১৯ সালে নিজের কার্যকালে শামিমার নাগরিকত্ব রদ করেছিলেন তিনি। আদলতের রায়ের পর টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাভেদ লেখেন, ”এই রায় নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” তাঁর দাবি, মামলার ফলাফল যাই হোক না কেন, একবার ব্রিটেনে প্রবেশ করলে ফের শামিমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তবে আদালতের রায়ে আনন্দিত শামিমার বাবা আহমেদ আলি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement