সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিয়ের আসরে দিব্যি সেজেগুজে বসে রয়েছেন কনে। হইহই করতে করতে বরযাত্রীদের নিয়ে আসরে এলেন বর। যার হাতে বাড়ির মেয়েকে তুলে দেওয়া হবে, তাঁকে বরণের সে কত তোড়জোড়। আমাদের সমাজব্যবস্থায় সাধারণত এটাই চিরাচরিত রীতি। চেনা ছবি বদলে নিয়ম ভাঙার সাহস কজনেরই বা আছে? সেই অসাধ্যসাধনই করলেন এক তরুণী। বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে আসলেন তিনি। আপনার অবাক লাগলেও এমন ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী রইল পদ্মাপারের মেহেরপুরের গাংনি পুরসভার চৌগাছা।
কনে চুয়াডাঙার হাজরাহাটি গ্রামের বাসিন্দা খাদিজা আক্তার খুশি। কুষ্টিয়ার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রী সে। গাংনি চৌগাছার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় খুশির। শনিবার দুপুরে বিয়ের আসর বসে তাঁদের। তবে এক্ষেত্রে কনের বাড়ি নয়। বিয়ের ব্যবস্থাপনা হয় বরের বাড়িতে। সাতটি বাস এবং ৩০টি বাইকে চড়ে কনেযাত্রীরা বরের বাড়ির সামনে পৌঁছায়। বিয়েবাড়ি জুড়ে তখন শুধুই হইচই। বাড়ির গেটের সামনে লাল বেনারসি পরে বাস থেকে নামেন কনে। তাঁকে ফুল ও মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে নেয় বরপক্ষ। এরপর শুরু হয় বিয়ে। বাড়ির সকলের সামনে বিয়ে হয় দু’জনের। খাওয়াদাওয়া সারেন দুই পরিবারের লোকজনেরা। বিকেলে বর তরিকুল ইসলাম জয়কে নিয়ে কনে খাদিজা আক্তার খুশি চলে যান বাপের বাড়িতে। শ্বশুরবাড়িতে কয়েকদিন কাটানোর পর কনেকে সঙ্গে নিয়ে বর ফিরে আসবেন নিজের বাড়িতে।
ব্যতিক্রমী কনে খাদিজা আক্তার খুশি বলেন, “নারী-পুরুষের সমান অধিকার। তাই আমি মেয়ে হয়েও একজন ছেলেকে বিয়ে করতে গিয়েছিলাম। নিয়মের বৃত্ত ভাঙতে শুরু করেছি আমরা। আশা করছি আরও অনেকেই এরকম করবেন।” রীতি ভেঙে ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরোর সদস্য আবদুল মাবুদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.