সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা। বাংলাদেশে ঠাঁই মিললেও বিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য তাঁরা। সহানুভূতি জানালেও শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না কেউ। রাখাইনে বার্মিজ সেনার লাগাতার নির্যাতনে অনেকেই পালিয়ে এলেও ভিটে কামড়ে থেকে গিয়েছিলেন অনেক রোহিঙ্গা। তবে খাবারের অভাবে এবার তাঁরাও দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ফের বাড়ছে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। নৌকা বোঝাই হয়ে উদ্বাস্তুরা রওনা দিচ্ছেন মালয়েশিয়ার উদ্দেশে। এবার এমনই এক শরণার্থী বোঝাই নৌকা ভিড়ল থাইল্যান্ডের উপকূলে।
[স্ত্রীর অনিচ্ছায় যৌন সংসর্গ ধর্ষণ নয়, রায় গুজরাট হাই কোর্টের ]
জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডের ক্রাবি প্রদেশে আটক করা হয় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। থাই পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি। তারপর ল্যানটা দ্বীপে পৌঁছয় সেটি। মোট ৫৬ জন শরণার্থী ছিল নৌকাটিতে। লান্টা পুলিশের প্রধান কর্নেল এমএল পাতানাজাক চাক্রাবন্ধু বলেন, “মানবিকতার খাতিরে শরণার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁদের ফের সাগরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নৌকাটি। স্থানীয়রা শরণার্থীদের খাবার এবং জলও সরবরাহ করেছে।” রাখাইন প্রদেশ চলা গণহত্যা থেকে বাঁচতে সহজেই মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছেন রোহিঙ্গারা। টাকার বিনিময়ে উদ্বাস্তুদের থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার বরাত নেয় পাচারকারীরা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর কবলে পড়লে যাত্রীদের ফেলেই চম্পট দেয় তারা। অনেক সময়ই অত্যাধিক যাত্রী বোঝাই করার জন্য সমুদ্রে সলিল সমাধি ঘটে নৌকাটির।
মানবাধিকার সংস্থাগুলি আশঙ্কা করছে ফের সমুদ্রপথে মানুষ পাচার শুরু হয়েছে। নিরাপদ মাথা গোঁজার ঠাঁই ও চাকরির টোপ দিয়ে ফের শরণার্থীদের ফাঁদে ফেলছে পাচারকারীরা। এক মানবাধিকার কর্মী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা বোঝাই বেশ কয়েকটি নৌকা সমুদ্রে রয়েছে। তাদের গন্তব্য থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের ফেরত বইতে মায়ানমারের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। তবে ওই চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে নাইপিদাও। ফলে শরণার্থীদের দেশে ফেরার স্বপ্ন, অদূর ভবিষ্যতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[পুনরায় সিবিএসই-র অঙ্ক পরীক্ষা নয়, স্বস্তি পড়ুয়াদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.