Advertisement
Advertisement

Breaking News

BNP

‘এত টাকা কোথা থেকে আসছে?’, এক সঙ্গে বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল ও ইসলামি শিবিরকে বিঁধল বিএনপির ছাত্র শাখা

এই মুহূর্তে নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি।

BNP students wing slams new students party over fund
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:March 8, 2025 4:19 pm
  • Updated:March 8, 2025 4:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের নামপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিল এলাহি আয়োজন। পাশাপাশি ঘন ঘনই তারা নানা কর্মসূচিও পালন করে। যার জন্য প্রয়োজন অর্থের। এদিকে, ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (নুরুল ইসলাম) গণমাধ্যমকে তাদের ইফতার কর্মসূচিতে দৈনিক তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছেন। আর এতেই এবার এনসিপি ও ইসলামি শিবিরকে বিঁধল বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তাদের সাফ প্রশ্ন, এই দলের কাছ থেকে এত টাকা আসছে কোথা থেকে?

Advertisement

জানা গিয়েছে, এনসিপির আহ্বায়ক মহম্মদ নাহিদ ইসলামের একটি সাক্ষাৎকার বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে রয়টার্স। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশজুড়ে অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি তাঁদের দলকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করছেন। এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ছাত্রদলের নেতারা শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন। দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, দেশের কিছু ধনী ব্যক্তি এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেছেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলে তারা ইতিমধ্যে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছেন। অর্থায়নের বিপরীতে ওই ধনী ব্যক্তিরা কী ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন?

এরপর উঠে আসে ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রসঙ্গ। রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন, “শিবিরের সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে বলেছেন, তারা প্রতিদিনই ইফতারে তিন লক্ষ টাকা করে ব্যয় করছেন। যদি তিন লক্ষ করে প্রতিদিন ব্যয় করা হয়, তাহলে মোট হয় ৯০ লক্ষ টাকা। এই বিপুল অর্থ একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন হিসেবে কীভাবে উপার্জন করছে, তাদের অর্থায়নের উৎস কী? এটাই জানতে চাই।” বিশ্লেষকদের মতে, দুই দলের এই ব্যাপক অর্থ খরচ করার পিছনে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিএনপি। ভোটের আগে যদি এই ‘তত্ত্ব’ প্রকাশ্যে আনা যায় তাহলে পথের কাঁটা পরিষ্কার হতে পারে খালেদা জিয়ার দলের। কারণ এই মুহূর্তে নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা কখনও বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। আবার কখনও বলছেন, শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ভোটের নাম করতে না। আর এহেন মন্তব্য মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির প্রশ্ন করেন, “এখনও ৯ থেকে ১০ মাস সময় আছে। সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন করা হয়েছে। এটা মার্চ মাস। নির্বাচনের জন্য গড়িমসি কেন? সরকারও নির্বাচনের জন্য একটা মাস দিয়েছিল। বলেছিল ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। আবারও শুনি কেউ কেউ বলছে- না, এই সময়ে নির্বাচন করা কঠিন। নির্বাচন তো করবে নির্বাচন কমিশন, সহায়তা করবে সরকার। আমরা আশা করি, সরকার দেশের মানুষের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করবে। কারণ, ড. ইউনুস একজন সম্মানিত ব্যক্তি।” এদিকে, এই প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি, পুলিশ যে দুর্বল অবস্থায় আছে। সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।” সব মিলিয়ে বিএনপির নজরে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub