সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা সংক্রমণ এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন জানিয়েছিল বিএনপি। গতকাল এই বিষয়ে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেন, বুধবারই মুক্তি দেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার বিকেল সোয়া চারটের সময় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়(BSMMU)-এর প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল প্রাক্তন প্রধামনন্ত্রী। বেলা দুটোর সময় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁর মুক্তির ছাড়পত্র পৌঁছে দেওয়া হয় BSMMU। এরপর দু ঘ্ণ্টা পরেই মুক্তি পান খালেদা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুশির আমেজ ছড়িয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সদস্যদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকার অবস্থিত গুলশানে তাঁর বাসভবনে পৌঁছান তাঁর ভাই শামিম ইস্কান্দার, বোন সেলিনা ইসলাম ও ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ছমাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হলেও কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার জেরে কোনওভাবেই দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালে জেলে যাওয়ার পর থেকে দু’বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। তাঁর মুক্তির জন্য বিএনপি অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেও কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তাই নেতারা ও খালেদা জিয়ার স্বজনরা শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন জানান। এরপরই বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শেখ হাসিনার সরকার। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও।
তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বয়স বিবেচনা করে সরকার খালেদা জিয়ার সাজা ছ’মাসের জন্য স্থগিত রাখছেন। এই কারণে তাঁকে ছ’মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬ ধারায় তাঁর সাজা ছ’মাস স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না। এই শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.