সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক দিন চলে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও নির্বাচন (Bangladesh Election) নিয়ে সেরকম কোনও তৎপরতা দেখাচ্ছে না মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। কখনও তারা বলছে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কখনও আবার জানা যাচ্ছে আগামী বছরের মার্চে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর এই ঢিলেমিতে ‘ষড়যন্ত্রে’র গন্ধ পাচ্ছে বিএনপি। ফের একবার নির্বাচন নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করেছে খালেদা জিয়ার দল। তবে এখনও ভোট নিয়ে আশাবাদী তারা।
বিএনপির নেতারা বলছেন, বারবার নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট কোনও বার্তা আসছে না। বরং নানা সন্দেহ বাড়ছে। প্রধান উপদেষ্টা, নির্বাচন কমিশন, সেনাপ্রধানের বক্তব্যে তারা আশাবাদী। তবে সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা ও অন্যান্যদের কথাবার্তায় ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী এপ্রিল থেকে সভা-সমাবেশের মতো কর্মসূচি নিয়ে ‘নির্বাচনী ষড়যন্ত্র’ প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে বিএনপি। গত সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উঠে এলে নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও সাধারণ নির্বাচন নিয়ে মহম্মদ ইউনুসকে আক্রমণ করেছিল বিএনপি। কটাক্ষ করে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজুলর রহমান বলেছিলেন, “হাসিনার সময় ছিল গভীর অন্ধকার। কিন্তু টর্চলাইট মারলে দেখা যেত। আর এখন গভীর কুয়াশা। দুটো লাইট জ্বালালেও গাড়ি চলতে চায় না। দেশটা কুয়াশা হয়ে গিয়েছে।” শুধু তাই নয়, চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বলেন, এই দেশকে পাকিস্তান হতে দেওয়া যাবে না। চক্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত সরকারের। এই মুহূর্তে চরম অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছতে দিকে দিকে হামলা, ভাঙচুর জারি রয়েছে। অত্যাচারিত হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও। বিপন্ন গণতন্ত্র। জিনিসপত্রের দামও আকাশছোঁয়া। দিকে দিকে বাড়ছে ধর্ষণ। অনেকেই মনে করছেন পরিস্থিতি ঠিক করতে নির্বাচনই একমাত্র পথ।
এদিকে, নারী নিপীড়ন বন্ধ-সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এক মানববন্ধ কর্মসূচিতে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই হুশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাত ঘটে এমন কোনও কর্মসূচি আমরা করিনি। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা যদি অব্যাহত থাকে, নারী নিপীড়ন অব্যাহত থাকে এবং সুষ্ঠু বিচার আমরা না পাই তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, বাংলাদেশের পুরো ছাত্র সমাজের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন, ধর্ষকদের বিচার অতি দ্রুত নিশ্চিত করুন। দয়া করে আজকে থেকে আরও বেশি সচেষ্ট হোন। ধর্ষণ, নারী নিপীড়নের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আমরা আপনাদের দিকে আঙ্গুল তুলতে বাধ্য হবো।” ফলে আরও চাপ বাড়ছে ইউনুস সরকারের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.