সুকুমার সরকার, ঢাকা: সোমবার বাংলাদেশের খুলনায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট(আইএস)৷ সাইট ইন্টেলিজেন্স নামে এক মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, টুইট বার্তায় এই তথ্যই প্রকাশ করেছে। এই বিস্ফোরণে কেউ হতাহত না হলেও, তা গুলশন হামলার স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে৷ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷
[ আরও পড়ুন: নিজস্ব স্যাটেলাইটে সম্প্রচার শুরু বাংলাদেশ টেলিভিশনের, কমল ব্যয়ভার ]
এই বিষয়ে খুলনার ফুলতলা থানার ওসি খান জাহান আলি বলেন, ‘‘সোমবার সন্ধে সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় শিরোমণি এলাকায় সরকারি দল আওয়ামি লিগের একটি কার্যালয়ে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। এই বিষ্ফোরণে অবশ্য তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, হতাহতের কোন ঘটনাও ঘটেনি। এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, বোমাটির প্রকৃতি কেমন ছিল।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২ বছরের এক ব্যক্তি বাজারের ব্যাগে করে বোমাটি আওয়ামি লিগ কার্যালয়ের মূল দরজার সামনে রেখে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে বোমাটি বিস্ফোরণ হয়৷ কে বা কারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি তদন্তকারীরা। প্রথমে কেউ হামলার দায় স্বীকার না করলেও, পরে আইএস-এর একটি টুইট প্রকাশ করে সাইট ইন্টেলিজেন্স নামের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত
তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা।
[ আরও পড়ুন: পদ্মার ইলিশ চেখে দেখবেন নাকি? তবে এই জায়গাই হোক আপনার গন্তব্য ]
প্রসঙ্গত, এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার পুলিশ ক্যাম্পের সামনেও ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস জঙ্গিরা। ২৩ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন ও খামাড়বাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের কাছ থেকেও বোমা উদ্ধার হয়। এছাড়া গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোঁড়া হয়৷ এবং ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের এসবি কার্যালয়ের সামনেও পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে বোমা হামলা হয়। প্রতিটি হামলারই দায় স্বীকার করেছে আইএস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.