Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিস্ফোরণ

ঢাকার নারায়ণগঞ্জের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, শিশু-সহ মৃত অন্তত ১১, চিকিৎসাধীন বহু

আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Blast in a masjid in Dhaka, 11 people died, many injured

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 5, 2020 11:05 am
  • Updated:September 7, 2020 1:25 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকার (Dhaka) অদূরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জামে মসজিদে ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীনদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুল সালাহ জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভিতরে থাকা এসিতেও বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় মসজিদে। মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া গ্যাসপাইপ লাইনে বেশ কিছুদিন ধরেই লিকেজ ছিল। কিন্তু সারাই করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গ্যাসের কারণে আরও দ্রুত ছড়ায় আগুন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশু-সহ ১১ জনের।দগ্ধ হন বহু মানুষ।blast

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজরি মানছে না কলকাতার ৬টি নামী হাসপাতাল, ধরানো হল নোটিস]

জানা গিয়েছে, ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৩৮ জনকে ভরতি করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, “বার্ন ইউনিটে ভরতি সবারই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দগ্ধদের অনেককে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। কারও অবস্থাই ভাল নয়।” এদিকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, “যাঁরা এসেছেন তাঁদের শরীরের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের শরীরে ৯৯ ভাগ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পরই মসজিদের বিদ্যুৎ চলে যায়। সেই সময় আশপাশে সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির জলে গড়াগড়ি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দগ্ধরা। দমকল কর্মী আরেফিনের কথায়, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে নামে। জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার আগে স্থানীয়রাও বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিনের বিস্ফোরণের তীব্রতায় মসজিদের সিলিং ফ্যানগুলি বেঁকে গিয়েছে। জানালার কাঁচ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে। মসজিদের মেসের ভাড়াটিয়া শাওন জানান, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে আগুন ও কালো ধোঁয়া চারতলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল ঘটনার সময়। মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। দমকল কর্মীরা জল ছিটানোর কারণে গ্যাসের বুদবুদ বের হচ্ছিল। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গ্যাসের লিকেজের কারণে সম্ভবত এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। তবে ঠিক কী কারণে এই ভয়াবহ ঘটনা তা দ্রুত স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন দমকল আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: সাংসদের সুপারিশে ভরতি করোনা রোগীর পরিবারকেও প্রতারণার চেষ্টা, কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement