ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত থেকে চোরাই পথে গরু নিয়ে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা। ফের বিজিবি-গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের নিহত ১ নাবালক-সহ ৩, আহত অন্তত ২০ জন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ হাটে বিক্রির সময় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির হাতে ধরা পড়ে যায় পাচারকারীরা।
মঙ্গলবার ছিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণিহাটের সাপ্তহিক গরুর হাট। সীমান্তের দু’ কিলোমিটার মধ্যে ওই হাটে ভারতীয় গরু উঠেছে, এই খবর পেয়ে বিজিবি কয়েকটি গরু আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সেসময় শ’তিনেক গ্রামবাসী বিজিবিকে ইট, পাথর ছুঁড়ে মারে। রামদা নিয়েও আক্রমণ করে। বিজিবি আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছোঁড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে বিজিবি সূত্রে খবর। নিহতদের নাম, পরিচয় জানা গিয়েছে। নিহত নবাবউদ্দিন এবং সাদেক হরিপুরের রুহিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে, আরেক নিহত নাবালক জয়নুলের বাড়ি বহরমপুর গ্রামে। গ্রামবাসীদের মধ্যে ১৫ জন জখম হন। ওদিকে, আক্রমণ, পালটা আক্রমণে বিজিবির ৫ সদস্যও জখম হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিজিবি ক্যাম্পে ফিরে যায়। এরপর গ্রামবাসীরা বিজিবির শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটলিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চোরাচালান করা চারটি গরু বাজেয়াপ্ত করে বিজিবির সদস্যরা ক্যাম্পে ফেরার সময়েই চোরাকারবারিরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। বিজিবি বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে বাধ্য হন। হতাহতরা সবাই গরু পাচারকারী দলের সদস্য বলে দাবি তুলেছে বিজিবি। ওদিকে, বহরমপুর গ্রামের এক গরু ব্যবসায়ীর পালটা দাবি, তিনি সপ্তাহ দুয়েক আগে স্থানীয় হাট থেকে নিলামে দুটি গরু কিনেছিলেন। গরু কেনার কাগজপত্র তাঁর কাছে আছে। মোটেই সেই গরুর সঙ্গে চোরাচালানের সম্পর্ক নেই। বিজিবির গুলচালনার ঘটনায় সাময়িকভাবে উত্তেজনা তৈরি হয় সীমান্তের এই অঞ্চলে। পরে পুলিশি সক্রিয়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.