Advertisement
Advertisement
বাংলাদেশ

নির্বাচনে ঝরছে রক্ত, তিনদিন ‘গৃহবন্দি’ থাকবে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

উপজেলার ভোটে রোহিঙ্গাদের কাজে লাগাতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি!

Bangladsh Election Commission regulates Rohingya movement
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 22, 2019 3:22 pm
  • Updated:March 22, 2019 6:30 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্রমশ নির্বাচনী হিংসার জের বাড়ছে বাংলাদেশে৷ এপর্যন্ত দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ৷ তাই তৃতীয় দফার উপজেলা ভোটকে নজরে রেখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷ আগামী ২৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত শরণার্থীদের শিবির ছেড়ে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

[রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, কানাডা]

Advertisement

ইতিমধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান. উপজেলার ভোটে রোহিঙ্গাদের কাজে লাগাতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি৷ এর ফলে হিংসা ছড়াতে পারে৷ তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই তিনদিন রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ তৃতীয় দফায় রবিবার শতাধিক উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে৷ এর মধ্যে রয়েছে স্পর্শকাতর কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালি, রামু, উখিয়া এবং টেকনাফ৷ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার-সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন আধিকারিক মহম্মদ বশির আহমেদ। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৩ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২৫ মার্চ সকাল ৮টা পর্যন্ত শিবিরের চৌহদ্দি থেকে বের হতে পারবে না শরণার্থীরা। এমনকী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদেরও গাড়ি নিয়ে ওই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ তবে খাদ্য, ত্রাণ ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে একাধিক পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীরা৷ পালটা জঙ্গিদমন অভিযানে নাম বার্মিজ সেনা৷ অভিযোগ, সন্ত্রাস দমনের নামে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্বিচার হত্যালীলা চালায় সরকারি বাহিনী৷ ঘটে ধর্ষণের মতো ঘটনাও৷ শেষমেশ প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা৷ এই মুহূর্তে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ৷ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মায়ানমার৷ তবে চুক্তির বাস্তবায়নে বিস্তর টালবাহানা করে চলেছে কাউন্সিলার আং সান সু কি-র সরকার৷ এদিকে রোহিঙ্গা শিবিরে ক্রমশ বাড়ছে জেহাদিদের আনাগোনা৷ বিভিন্ন অপরাধে নাম জড়িয়েছে শরণার্থীদের একাংশের৷ ফলে ক্রমশ বিরক্ত হয়ে উঠছেন স্থানীয়রাও৷ সবমিলিয়ে দ্রুত রোহিঙ্গাদের মায়ানমার ফেরত পাঠাতে চাইছে হাসিনা সরকার৷ 

[নওরোজে নৌকাডুবি, ইরাকের টাইগ্রিস নদীতে সলিলসমাধি ১০০ জনের]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement