ছবি প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: কলি কালের মায়ায় তথাকথিত নারীবাদিরা অনেক কথাই বলে থাকেন। কখনও নারীর মহাকাশ যান ওড়ানোর ক্ষমতাকে বাহবা দেন, কখনও করোনা সংকটের (CoronaVirus) আবহে ডাক্তার হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য কুর্নিশ জানান। আবার কখনও ময়দানে নেমে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনার জন্য গর্ববোধ করেন। তা নিয়ে অবশ্য বাংলাদেশের হেলালউদ্দিন এখন মাথা ঘামাতে প্রস্তুত নন। তিন মেয়ের পর একসঙ্গে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে তাঁর স্ত্রী। এতেই আপ্লুত বাংলাদেশের (Bangladesh) ওই বাসিন্দা।
নাটোরের বাগাতিপাড়ার কোয়ালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হেলালউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী জলি বেগম। ২০০১ সালে দু’জনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু বছর পরই প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তারপর আরও একটা কন্যা সন্তান হওয়ায় পুত্র সন্তানের আশায় তৃতীয়বার চেষ্টা করেন দম্পতি। তৃতীয়বারও মেয়ের বাবা হন হেলালউদ্দিন।
আশাহত হলেও হার মানতে রাজি ছিলেন না বাংলাদেশের ব্যক্তি। চতুর্থবার সন্তানসম্ভবা হন ৩৮ বছরের জলি বেগম। এবার স্বামীর ইচ্ছে একশো নয়, একেবারে তিনশো ভাগ পূরণ করতে পেরেছেন তিনি। একসঙ্গে তিনটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। স্বাভাবিকভাবেই তিন ছেলের বাবা হয়ে আনন্দ আর ধরছে না হেলালউদ্দিনের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মা এবং সন্তানরা সুস্থ রয়েছে।
স্থানীয় একটি কারিগরি কলেজের ল্যাব সহকারী পদে চাকরি করেন হেলালউদ্দিন। পুত্র সন্তানের প্রত্যাশায় একমাত্র রোজগেরের পরিবারের সদস্য সংখ্যা হয়ে গেল আট। তাতে অবশ্য আক্ষেপ নেই তাঁর। ভবিষ্যতের বিষয় ভবিষ্যতের খাতায় ফেলে রেখে পুত্র সন্তান পেয়েই আপ্লুত তিনি। নিন্দুকরা যাই বলুক। এতদিনে তাঁর সাধ পূরণ হয়েছে। সেই খুশিতেই ডুবে থাকতে চান বাংলাদেশের বাসিন্দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.