Advertisement
Advertisement
কারাবাস

বাড়ির মালিককে খুন, অস্ট্রেলিয়ার আদালতের রায়ে ৪২ বছরের সাজা বাংলাদেশি ছাত্রীর

সাড়ে ৩১ বছর কারাদণ্ড ভোগের পর প্যারলে জামিনের আবেদন করা যাবে৷

Bangladeshi student gets lifetime jail for murdering her flat owner
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 6, 2019 3:31 pm
  • Updated:June 6, 2019 3:31 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: খুনে অভিযুক্ত বাংলাদেশি ছাত্রীকে কঠোরতম শাস্তি দিল অস্ট্রেলিয়ার আদালত৷ ৪২ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে৷ তার উপর ৩১ বছর কারাবাস ভোগের আগে প্যারোলে জামিনের আবেদন করতে পারবে না ২৬ বছরের ওই বাংলাদেশি ছাত্রী৷ সোমা নামের ওই বাংলাদেশি ছাত্রী মেলবোর্নে তার বাড়ির মালিককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে৷ ঘটনার পরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তার আদি বাড়ি ঢাকার মিরপুরে৷ সেখানে পুলিশ খোঁজখবর নিতে গেলে তার ছোট বোনও পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে গ্রেপ্তার হয়। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারক লেসলি টেলর গোটা মামলা শোনার পর এই কঠোর সাজা ঘোষণা করেন৷

[আরও পড়ুন: ‘সিক্রেট কোড’ হ্যাক করেই বাজিমাত, বাংলাদেশে এটিএম জালিয়াতিতে নয়া তথ্য]

২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যান সোমা। মেলবোর্নে রজার সিংগারাবেলু নামে একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকতে সুরু করেন৷ ন’দিনের মাথায় বাড়ির মালিককে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এবং খুন করে৷এবং খুন হামলার পরপরই সোমাকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সোমা ওই সন্ত্রাসী হামলা করেন বলে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসে। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আইন অনুযায়ী, হত্যার দায়ে সোমাকে কমপক্ষে ৩১ বছর ৬ মাস কারাগারে থাকতে হবে। তারপরেই সে প্যারলের আবেদন করতে পারবে।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জেহাদে উদ্ধুদ্ধ ২০১৫ সালে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া যেতে চেয়েছিল ঢাকার ছাত্রী মোমেনা সোমা৷ ঢাকার মাস্টার মাইন্ড স্কুল থেকে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেবেল শেষ করে সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা শেষ করে। এরপর সে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেয়৷ তুরস্কের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতিও হয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিসা না পাওয়ায় তুরস্কে আর যাওয়া হয়নি৷ সোমার ছোট বোন আসমাউল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের৷

[আরও পড়ুন: জামাইবাবুর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার জের, প্রকাশ্যে খুন করা হল যুবককে]

সোমার ব্যাপারে খোঁজ নিতে ঢাকার মিরপুরের কাজিপাড়ার বাড়িতে যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল। সেদিন ইউনিটের এক আধিকারিকের উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালায় সোমার ছোট বোন আসমাউল হোসেন সুমনা। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়৷ জেরার মুখে সে জানায়, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিরিয়ায় গিয়ে ফিরে আসা গাজি কামরুস সালাম এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নজিবুল্লা আনসারির সঙ্গে সোমার যোগাযোগ ছিল। ২০১৮-এ অস্ট্রেলিয়ায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর আগস্ট থেকে শুরু হয় বিচারপর্ব৷ তা শেষ হল বুধবার৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement