Advertisement
Advertisement
Diwali

বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে দীপাবলি পালন করবেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

মন্দির-পুজোমণ্ডপগুলিতে কালো কাপড় পরে প্রতিবাদ।

Bangladeshi Hindus not to celebrate Diwali protesting attack | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 25, 2021 10:26 am
  • Updated:October 25, 2021 10:26 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর হামলা ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ। এবার সংখ্যালঘুদের উপর এহন নির্যাতনের প্রতিবাদে দীপাবলি বর্জনের ডাক দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার কথা স্বীকার করল ইকবাল]

মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনানুগ ব্যবস্থা চলার মধ্যেই আগামী ৪ নভেম্বর শ্যামাপুজোর উৎসব বর্জনের ডাক দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন মন্দির ও পুজোমণ্ডপগুলিতে কালো কাপড় পরে প্রতিবাদ করার কথাও ঘোষণা করেছেন। শনিবার রাজধানী ঢাকার শাহবাগে গণঅনশন থেকে দীপাবলি উৎসব বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ও আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির শেষে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ আগামী ৪ নভেম্বর শ্যামা দীপাবলি উৎসব বর্জনের ঘোষণা করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

Advertisement

সমাবেশে বক্তারা বলেন, হামলার প্রতিকারে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। পরিকল্পিত না হলে পরপর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের হামলা হতে পারে না। প্রাক্তন সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায় রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সরকার এড়াতে পারে না। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক হামলাগুলি পরিকল্পিত ঘটনা। দেশকে আফগানিস্তান বানানোর অসৎ উদ্দেশ্য চলছে। অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তিনি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলিম ঐক্য পরিষদ গঠনের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোয় কুমিল্লা জেলায় পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দেবস্তীর সংখ্যাগুরু মুসলিম মৌলবাদীরা। রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে শুধু কুমিল্লায় ১০২টি মামলা ও আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার ৬১৯ জনকে। আর এ পর্যন্ত ৫৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মণ্ডপে কোরান রাখার ঘটনার মূলচক্রী পেশায় রাজমিস্ত্রি ইকবাল কুমিল্লার সুজানগরে বাড়ি। ধর্মীয় হিংসার উসকানি সৃষ্টির দায় স্বীকার করেছে সে। এখন সে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির জের, ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement