সুকুমার সরকার, ঢাকা: হাজার শব্দ, একটি ছবি৷ ধ্বনি নয় দৃশ্য৷ মর্মে আঘাত করতে যথেষ্ট একটি ক্লিক৷ সাদা-কালো হোক কিংবা রঙিন৷ রিল ফুটিয়ে তোলে রিয়েল লাইফের সংগ্রাম৷ এমনটাই বলেছিলেন সর্বকালের সেরা চিত্রগ্রাহক আন্সেল অ্যাডামস৷ তাঁর কথা যে কতটা সত্যি তা ফের প্রমাণিত হল৷ একটি ছবির দৌলতে সম্পূর্ণ পালটে গেল দু’টি জীবন৷ প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে জীবন জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় পেয়েছেন এক মা৷
নাম সীমা সরকার৷ বাড়ি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়৷ আর পাঁচটা মহিলার মতোই ঘর সংসার আগলান তিনি৷ তবে বুকে কাঁটার মতো ফোটে প্রতিবন্ধী সন্তানের চিন্তা৷ হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই তাঁর একমাত্র ছেলে হৃদয় সরকারের৷ তবে চোখে স্বপ্ন রয়েছে৷ শরীর অক্ষম, কিন্তু সক্ষম মন৷ ইচ্ছা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার৷ ছেলের চোখে জেদ দেখে, এগিয়ে আসেন মা৷ তাঁকে কোলে করে নিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল মামুন। ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা তিনি৷ ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি৷ মুহূর্তে মেলে অভাবনীয় সাড়া৷ ভাইরাল হয়ে যায় এক মায়ের সংঘর্ষের দৃশ্যপট৷ তারপরই পালটে যায় সীমাদেবী ও তাঁর ছেলের জীবন৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় পছন্দের বিষয়ে ভরতি হতে পেরেছেন হৃদয়৷ পাশাপাশি বিবিসির ১০০ অনুপ্রেরণীয় নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সীমাদেবী।
তাঁর ছবির এহেন প্রভাবে অত্যন্ত খুশি আল মামুন৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “আমি ছবিতে দেখাতে চেয়েছি, কীভাবে এক মা হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দিয়ে তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোলে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।” পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তোলার শখ রয়েছে মনোবিজ্ঞানের এই পড়ুয়ার৷ তাঁর ছবিতে একটি পরিবারের জীবন পালটে যাওয়ায় অত্যন্ত খুশি তিনি৷
[এবার ভেজাল হলুদ কারখানার হদিশ ফরাক্কায়, গ্রেপ্তার এক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.