প্রতীকী ছবি।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাদেশকে (Bangladesh)। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ায় কড়া আইনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। সম্প্রতি, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডে সম্মতি দিয়ে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে হাসিনা সরকার। কিন্তু তারপরও থামছে না নারী নির্যাতন। এক রিপোর্ট মোতাবেক, বিগত আট মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ মহিলা।
[আরও পড়ুন: ইসলামের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতেই হামলা করে জঙ্গিরা, দাবি বাংলাদেশের ধর্মীয় মন্ত্রকের]
জাতীয় পর্যায়ের আইন সহায়তা এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৬ জনকে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৭১ জনকে। এটি অবশ্যই ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা নয়। প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করে ‘প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী’। মৈত্রী আরও জানায়, এই সংখ্যা কেবল ৯টি জাতীয় সংবাদপত্র থেকে নেওয়া হয়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারীর প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘মুক্তির মিছিল’-এর আয়োজন করছে ‘প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী’। এতে নারীপক্ষ মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। ঢাকার মহম্মদপুর থেকে শুরু হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে শেষ হবে ঝটিকা প্রতিবাদ ‘তুই ধর্ষক’ উপস্থাপনার মাধ্যমে। আয়োজক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ মনে করেন, বাল্যবিবাহ এক ধরনের নারী নির্যাতন। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি তিন জনে দু’জন মহলা তাঁদের স্বামী কর্তৃক কোনও না কোনওভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নুসরত জাহান ধর্ষণ কাণ্ডের সক্ষ থাকে বাংলাদেশ। এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মারা যান নুসরত৷
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর বাংলাদেশ, এবার বিজয় দিবসে হবে না কুচকাওয়াজ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.