সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত ও চিন উভয়ে বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আশা করছে ঢাকা। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। তাই উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। গালওয়ানে চিন-ভারত অশান্তির আবহে এই বার্তা দিলেন বাংলাদেশে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার এক জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী প্রতিবেশী দুই দেশের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ”আমরা আশা করি, দুই দেশ আলাপ-আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করবে। উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন।” গত সোমবার লাদাখের কাছে ভারত-চিন সীমান্তে চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে ২০ ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনের তরফে ৪৩ জন সেনার নিহত হওয়ার খবর মেলে। খবরে বলা হয়েছে, এই সংঘাতে কোনও পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। লোহার রড, লাঠি, পাথর নিয়ে হামলা করেছে চিনা সেনা। তারপরই প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই আবহে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশকেও সবটা নজরে রাখতে হচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগও। তাই দিল্লি ও বেজিং – উভয়কে সতর্ক করতেই ঢাকার এই বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন ও ভারতের মধ্যে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও। প্রেস বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেজ দু’পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.