Advertisement
Advertisement

Breaking News

Drone

ইউক্রেনে রাশিয়াকে নাস্তানাবুদ করেছে ‘বায়রাক্তার’, এবার তুরস্কের এই ঘাতক অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ!

সিরিয়া ও লিবিয়ার সংঘাতে এই ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে।

Bangladesh to purchase Turkey made Bayraktar TB2 drones | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 2, 2022 11:03 am
  • Updated:August 2, 2022 12:56 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ বাংলাদেশের। এবার তুরস্কের কাছ থেকে ‘বায়রাক্তার’ টিবি-টু ড্রোন কিনতে চলেছে বাংলাদেশ। আলোচনা পর্ব পেরিয়ে ইতিমধ্যে ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বলে খবর বিবিসি সূত্রে।

এর আগে একাধিক যুদ্ধে তুরস্কের এই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার মাথাব্যথার কারণ হয় দাঁড়িয়েছে জেলেনস্কি বাহিনীর ‘বায়রাক্তার’ টিবি-টু ড্রোন। ফলে এই হাতিয়ারের কর্মক্ষমতা অনেক দেশে আগ্রহ তৈরি করেছে। বলে রাখা ভাল, গত কয়েক বছর ধরেই তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করেছে বাংলাদেশ। দেশটি থেকে কামানের গোলা, রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাঁজোয়া যান, মাইন থেকে সুরক্ষাকারী যান কিনেছে বাংলাদেশ। তুরস্কের কাছ থেকে বাংলাদেশ কতগুলো ড্রোন কিনছে বা কবে নাগাদ সেগুলি ঢাকা পোঁছবে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফরাসি নৌসেনার সঙ্গে মহড়ায় ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ, আটলান্টিকে শক্তিপ্রদর্শন ভারতের]

তুরস্কের বাইকার টেকনোলজি কোম্পানি ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বায়রাক্তার টিবি-টু ড্রোন উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করে। ২০২০ সালে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার (Armenia) যুদ্ধে এই অস্ত্রের ব্যবহার নজর কাড়ে। বায়রাক্তার ব্যবহার করে ইয়েরেভানকে বেকায়দায় ফেলে দেয় বাকু। এই ড্রোন ব্যবহার করেই রাশিয়ার মস্কোভা যুদ্ধজাহাজ, অস্ত্রের গুদাম, ট্যাঙ্ক ও কয়েকটি কমান্ড সেন্টারে সফলভাবে হামলা চালায় ইউক্রেন। যাতে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতীতে সিরিয়া ও লিবিয়ার সংঘাতে এই ড্রোনের কার্যকর প্রয়োগ দেখা গিয়েছে। এর পরই এই অস্ত্রের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বায়রাক্তার ড্রোনে চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট যুক্ত করা যায়, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে। ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার থেকে ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে ড্রোনটি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তিনশো কিলোমিটার পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়। এতে এমন কিছু সেন্সর রয়েছে, যার ফলে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করেও ন্যাভিগেশন করা যায়। সর্বোচ্চ সাতশো কেজি ওজন নিয়ে ড্রোনটি উড়তে পারে। মোট জ্বালানি ধরে ৩০০ লিটার। ড্রোনটি টেক-অফ, ল্যান্ডিং-সহ পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে। এর কম্পিউটারাইডজ সিস্টেমে তিনটি অটো পাইলট প্রোগ্রাম রয়েছে। একেকটি ড্রোন অন্তত ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যে তুরস্ক বিক্রি করে থাকে। যদিও ইউক্রেনের কাছে একেকটি বিক্রি করা হয়েছে সাত লক্ষ মার্কিন ডলারে। এই দামে কেনা হলে বাংলাদেশের জন্য প্রতিটি ড্রোনের দাম পড়বে কম বেশি ১০ কোটি টাকা।

[আরও পড়ুন: ভারতের সেনাপ্রধানের পরেই বাংলাদেশ সফরে চিনের বিদেশমন্ত্রী, তুঙ্গে জল্পনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement