Advertisement
Advertisement
Bangladesh

আরও রসেবশে শারদোৎসব, পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

পশ্চিমবঙ্গকে পুজোর উপহার বাংলাদেশের।

Bangladesh to export Hilsa to West Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 15, 2022 2:52 pm
  • Updated:September 15, 2022 3:07 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গকে পুজোর উপহার বাংলাদেশের। এবার ৫০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে হাসিনা সরকার। জানা গিয়েছে, বুধবার ভারতে ‘রুপালি শস্য’ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক। ফলে বাঙালির শারদ উৎসব আরও রসেবশে হতে চলেছে।

বাংলাদেশের (Bangladesh) বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বুধবার ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে হবে। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল বাণিজ্যমন্ত্রক। আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে। গত কয়েক বছর দুর্গাপুজোর আগে শর্তসাপেক্ষে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। এদিকে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন বাংলাদেশের নদ-নদীতে ইলিশ শিকার, পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিক মহম্মদ ইফতিকার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঢাকা সবুজ সংকেত দিলেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হয়ে পণ্য যাবে মেঘালয়]

সরকারি নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইলিশ (Hilsa) রপ্তানির জন্য যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদেরই রপ্তানি করতে হবে। পারমিট হস্তান্তর করা যাবে না। কোনও ধরনের সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েও রপ্তানি করা যাবে না। শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রপ্তানি পণ্য পরীক্ষা করাতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণ অর্থাৎ ৫০ টনের বেশি কেউ রপ্তানি করতে পারবে না। এই পার্মিটের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণে কোনও ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে, তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছর এখন পর্যন্ত ৬৪ টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে ৫৯ টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্নিষ্ট আধিকারিকরা বলছেন, গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনেকেই রপ্তানি করেনি। প্রতিটি চালান রপ্তানি শেষে সংশ্নিষ্ট কাগজপত্র মন্ত্রকে জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও অনেকে তা মানেনি। এ বছরও একই শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে সত্যিকার অর্থেই রপ্তানি করে, তা নিশ্চিত করার জন্য মনিটরিং করবে মন্ত্রক।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে বিপদ বাড়বে বাংলাদেশের, উদ্বেগ প্রকাশ হাসিনার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement