ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর মাছের রাজা যে ইলিশ তা অনস্বীকার্য। কিন্তু ওপার বাংলায় রুপোলি শস্যের ভাঁড়ারে টান পড়েছিল বিগত কয়েকদিনে। কারণ, প্রজননের মরশুমে ভারতে ইলিশ (Hilsa) রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল ঢাকা। এবার ভোজনরসিকদের চাঙ্গা করে ফের ইলিশ রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে ঢাকা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হবে। তবে বাংলাদেশের বেনাপোল (ওপারে পেট্রাপোল) সীমান্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুপুর দু’টো পর্যন্ত কোনও ইলিশের ট্রাক সেখানে পৌঁছায়নি। আজ বিকেলের দিকে ইলিশের ট্রাক গেলেও কাস্টমস-সহ নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই রাত গড়িয়ে যাবে। ফলে ভারতে ইলিশ পৌঁছতে পারে বৃহস্পতিবার।
গত সোমবার ইলিশ আহরণের ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরেই মৎস্যজীবীরা দেশের নদ-নদী ও সাগরে নেমে পড়েন। দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে সায় দেয় প্রশাসন। কিছু ইলিশ যাবার পরেই এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় নিষেধাজ্ঞার জারি হয় ইলিশ রপ্তানিতে। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পরেই রপ্তানির সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে বাণিজ্যমন্ত্রক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাণিজ্যমন্ত্রকের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব তানিয়া ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইতিপূর্বে বাংলাদেশের ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের প্রজনন মরশুম হওয়ায় ইলিশ শিকার, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে এসময় অনুমোদিত রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলি ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। যশোরের মৎস ব্যবসায়ী মহম্মদ কুদ্দুস মিয়া জানান, দেশে ইলিশের উৎপাদন কম হওয়ায় ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছিল সরকার। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের কারণে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর পুজের আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে এবার অনুমোদনের ৪ ভাগের ১ ভাগ ইলিশ রপ্তানি করা হয়। সময় বাড়ানোর কারণে আজ থেকে আবার ইলিশ রপ্তানি শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.