সুকুমার সরকার, ঢাকা: আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। লাগাতার বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে অনুমোদন পেল বাংলাদেশের (Bangladesh) দেশীয় ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে ‘বঙ্গভ্যাক্স’। চাহিদা মতো টিকা না পেয়েই টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। এবার এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের করোনা টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’-এর ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি নিজেদের উৎপাদিত টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ- বিএমআরসির কাছে আবেদন করা হয়। অনুমোদনের সাত থেকে দশদিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর এর প্রয়োগের কথা রয়েছে। গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদন করে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বিএমআরসি অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দায়িত্বে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনার (Corona Virus) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত সতর্ক। সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৬টি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে বঙ্গভ্যাক্স। গত মার্চ মাসে দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু এপ্রিলে ইদ-উল-ফিতর উৎসবে যোগ দিতে ঢাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে বরাবরের মতো গ্রামে ছুটে যায়। সপ্তাহখানেক বাদে একইভাবে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে আসে তারা। এতে বেড়ে যায় সংক্রমণ। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার দ্রুত টিকাকরণের পদক্ষেপ করছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.