ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে পাঠানোর কাজ দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে বাংলাদশ (Bangladesh) সরকার। শনিবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের আরও একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন ১ হাজার ৪৬৪ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নোয়াখালির ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় চারটি জাহাজ। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সমুদ্রের মাঝে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পৌঁছেছে ১ হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে গত মাসে দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সরকারি সংস্থার এক আধিকারিক জানান, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে চতুর্থ দফায় আরও অন্তত ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে উন্নতমানের আবাসস্থল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা ঘর, আধুনিক সেনিটারি পদ্ধতি, বিশুদ্ধ খাবার জল, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য হাসপাতালে ও ক্লিনিং এবং বাচ্চাদের শিক্ষাদানের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগেই কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় চার লক্ষ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা। তারপর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন সাত-আট লক্ষ অসহায় মানুষ স্রোতের মতো আসতে থাকায় তখনই তাদের আবাসস্থল-সহ অন্যান্য ব্যবস্থাদি যে রকম করার প্রয়োজন ছিল তাৎক্ষণিকভাবে সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। এ কারণেই ক্যাম্পের ভিতরে এখন বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ঢুকেছে, অবাধে মাদক ও নারী পাচারের মতো চরম সব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সুতরাং শুধু বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বার্থে নয়, রোহিঙ্গা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত লোকজনের কল্যাণ ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভাসানচরে তারা গেলে সেটির বিরুদ্ধে কোনও প্রপাগান্ডা ও বাঁধার সৃষ্টি করা উচিত নয় বলেই মনে করছে হাসিনা প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.