সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদ্রাসা পড়ুয়া নুসরত জাহান হত্যা মামলায় রায়দান৷ বৃহস্পতিবার, হত্যায় দোষী ১৬ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল বাংলাদেশের আদালত৷ এদিন এই রায় পড়ে শোনান ফেনির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহম্মদ মামুনুর রশিদ।
এদিকে, রায়দানের পর আদালতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই আসামিরা তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাদী পক্ষের আইনজীবীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করে দোষী সব্যস্তরা। পরে পুলিশ পাহারায় আইনজীবীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উচ্চ আদালতে আপিল করবে তারা বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী৷ রায়দানের সময় বেনজিরভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদানের কথা স্বীকার করেন বিচারক৷ তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের জন্যই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পেরেছে দেশবাসী৷
[আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানে বাজেয়াপ্ত ইলিশেই ভুরিভোজ বাংলাদেশের অনাথ আশ্রমে]
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মারা যান নুসরত৷ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া এবং তদন্তে উদাসীনতার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। নুসরতের পরিবারের দাবি মেনে প্রথমে সোনাগাজি থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে বদলি করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের দায়দায়িত্ব খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সব মিলিয়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সাড়া ফেলে দেয় বাংলাদেশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.