সুকুমার সরকার, ঢাকা: একদিনে একাধিকবার কম্পন (Earthquake)। মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ধ্বংসস্তূপ হাতড়ে প্রাণের খোঁজ চলছে। উদ্ধারকারী দলও ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না, এতটাই ভেঙে পড়েছে পরিকাঠামো। তুরস্ক (Turkey) জুড়ে এখন এমনই ছবি। ৭.৮ মাত্রার কম্পনে বিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের ছবির মতো সুন্দর দেশটি। এই অবস্থায় গোটা বিশ্বই তার পাশে। বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তারই মধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh) পাঠাল ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেনাবাহিনী ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন এই দলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরে জানান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে (C130) দলটি বুধবার তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দেবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই দলে কারা থাকবেন, কী কী সরঞ্জাম, উপকরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই তুরস্ককে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তুরস্কও সেই আগ্রহে সাড়া দিয়েছে। আসলে এই পরিস্থিতিতে তারা যে কোনও সাহায্য গ্রহণ করতেই রাজি।
রবিবার মাঝরাতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। ভূপৃষ্ঠের ১৭.৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। তারপর সোমবার পরপর আরও দু’বার কেঁপে ওঠে তুরস্কের বিভিন্ন অংশ। মঙ্গলবার সকালে আবার ৫.৫ মাত্রা কম্পন অনুভূত হয়। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার পেরিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
বলা হচ্ছে, চলতি শতকে এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটিতে এমন ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের ইজমিত ও ইস্তাম্বুলের পূর্ব মারমারা উপকূলীয় অঞ্চলে সেই ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.