বাংলাদেশ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে গাজায়
সুকুমার সরকার, ঢাকা: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত ঢাকা থেকে যত টন ত্রাণ গাজা ভূখণ্ডে পাঠানো হয়েছে এটি তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ। পাঁচ মাস পেরিয়ে জারি রয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। হামস নিধনে ইজরায়েলি সেনার অভিযানে গোটা গাজায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একমুঠো খাবার ও জলের জন্য এখন চারদিকে শুধুই হাহাকার। বিভিন্ন দেশের পাঠানো এই ত্রাণের ভরসাতেই এখন গাজার মানুষদের দিন কাটছে।
জানা গিয়েছে, রমজান মাস উপলক্ষ্যে মিশরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ-সহ ৯ দেশ। এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের তরফে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যত টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে এটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চিন, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া এবং জার্মানি। মিশরের সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলিম কাশতা বলেছেন, “ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিশরের উত্তর সিনাই থেকে রাফা সীমান্ত ক্রসিং হয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।”
বলে রাখা ভালো, জর্ডান ও ফ্রান্সের মতো বেশ কয়েকটি দেশ আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে গাজায় (Gaza)। আকাশপথে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে আমেরিকাও। পাশাপাশি জলপথেও মানবিক সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কয়েকদিন আগেই আকাশপথে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে গাজায়। বিমান থেকে প্যারাশুটে করে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় ফেলা হচ্ছিল একের পর এক খাবারের প্যাকেট। প্যারাশুট না খোলায় একটি বড় মাপের খাবারের প্যাকেট রকেটের গতিতে আছড়ে পড়ে আল শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে। এই ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৫ জন। আহত হন কমপক্ষে ১০ জন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিতে হামাসকে (Hamas) চিরতরে মুছে ফেলার পণ করেছে ইজরায়েল। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের একের পর এক ডেরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এবার হামলা চলছে রাফা শহরেও। প্যালেস্তিনীয়দের শেষ আশ্রয় এই রাফা। যেখানে হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.