Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাঁসার বাসনে ৩১ পদে সাজানো পাত, আপ্যায়ণে আপ্লুত হাসিনা

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও এমনভাবে আপ্যায়ণ করেছিল এই পরিবার।

Sheikh Hasina eat 31 dishes
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 15, 2019 9:27 pm
  • Updated:March 15, 2019 9:27 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সের ভারতেশ্বরী হোমসে শহিদ দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা স্মারক সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে কুমুদিনী পরিবারের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনা। শেখ হাসিনার জন্য ৩১ পদের বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছিল কুমুদিনী পরিবার। সেখানে কাঁসার থালায় খাবার ও কাঁসার গ্লাসে জল খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অতিথিদের বিভিন্ন পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা কুমুদিনী পরিবারের পুরনো ঐতিহ্য। এর আগে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও এমনভাবে আপ্যায়ণ করেছিল এই পরিবার। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে রীতি অনুযায়ী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহার বাসভবনে।

Advertisement
[‘গুলি থেকে আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন’, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর টুইট মুশফিকুরের]

এপ্রসঙ্গে শুক্রবার কুমুদিনী পরিবারের পুত্রবধূ ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রী মতি সাহা বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (রায় বাহাদুর) ছিলেন পরম বন্ধু। সুখে-দুঃখে এক সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন এই দুই মহান ব্যক্তি। দেশীয় দোসর আর রাজাকার আল বদর বাহিনী এই দুই মহান মানবকে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পর শেখ হাসিনা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাই তাঁকে আপ্যায়নের জন্য কোনও কমতি ছিল না। দুপুরের খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলু ও বিভিন্ন মাছের ভর্তা, শাক, মাছ, মাংস, পোলাও, কোরমা, মুড়ি মুড়কি, বিভিন্ন পিঠা ও কাবাব-সহ ৩১ পদের বিভিন্ন খাবার। শেষপাতে ছিল দই ও পায়েস।”

[কপালজোরে নয়, জিনসের দৌলতে উত্তাল সমুদ্রে রক্ষা পেলেন যুবক]

খাবার পরিবেশন করেন কুমুদিনী পরিবারের অন্যতম সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দি, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শম্পা সাহা। এ ব্যাপারে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের এমডি রাজীব প্রসাদ সাহা ও পরিচালক (শিক্ষা) প্রতিভা মুৎসুদ্দি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে এসেছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। তাঁকে আপ্যায়ন করতে পেরে কুমুদিনী পরিবার আনন্দিত।”

তাঁদের আপ্যায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহেনা খুবই খুশি হয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহেনা বৃহস্পতিবার ভারতেশ্বরী হোমসে এসেছিলেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক সম্মাননা স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল। কিংবদন্তীতুল্য রাজনৈতিক নেতা ও তদানীন্তন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), শিল্পী সাহাবুদ্দিন এবং নজরুল বিশেষজ্ঞ ও গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে স্মারক সম্মাননা স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে সম্মাননা স্মারক স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা এবং বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পক্ষে স্মারক সম্মাননা স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন তার নাতনি খিলখিল কাজি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement