সুকুমার সরকার, ঢাকা: লোকসভা নির্বাচনে তাক লাগানো ফলাফল করেছে বিজেপি৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির৷ রাত পোহালেই আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে৷ শেখ হাসিনা যেতে না পারলেও, বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ৷
বাংলাদেশ থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিশেষ বিমানে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ দিল্লি রওনা দেবেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও বেশ কয়েকজন৷ বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি৷ এরপর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে৷ তিনদিনের সফর শেষে আগামী ৩১ মে বিকালে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে তাঁর৷
এদিকে, বর্তমানে জাপানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ আরও দুটি দেশে সফরসূচি রয়েছে তাঁর৷ ৮ জুন বাংলাদেশে ফেরার কথা তাঁর৷ তাই মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না তিনি৷ বাংলাদেশে ফেরার আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে হাসিনার৷ এছাড়াও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘বে অফ বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমস্টেক)-এর অন্তর্গত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের খাঁড়ির সঙ্গে যুক্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে থাকছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ অথচ পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ মে মোদির প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির ছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.