ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: চার ধর্ষককে পিটিয়ে নিজেও ধর্ষণ করলেন শাসকদলের জন প্রতিনিধি। এই কাণ্ড শনিবার প্রকাশ্য ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় দুর্গম চরপিয়ালে। ওই উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ ছাত্রলিগ সভাপতি নজরুল-সহ পাঁচ যুবক মিলে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ (২৫) কুলসুম বেগমকে ধর্ষণ করে।
শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূ চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী পারাপারকারী স্পিডবোটে করে মনপুরায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। ওই স্পিডবোটেরই ৪ যুবক বোটচালকের ওপর জোর খাটিয়ে সেটি থামিয়ে দেয়। অভিযোগ, গৃহবধূকে চরের মধ্যে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে স্পিডবোটের মালিক দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলিগ সভাপতি নজরুল ইসলাম অপর একটি স্পিডবোটে করে ওই চরে যায়। অভিযুক্ত চারজনকে সে সেখানেই মারধর করে এবং তাদের কাছে থাকা নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে সে-ও গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও তোলে বলে অভিযোগ। গৃহবধূকে বলা হয়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
তবে ঘটনার কথা পুলিশের কানে ওঠে। রাখালরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘটনার কাছে জানায়। তিনি মনপুরা থানায় খবর দেন। পুলিশ ওই গৃহবধূকে শনিবার সন্ধ্যার পরে উদ্ধার করে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, স্পিডবোটের চালক রিয়াজ, নজরুল (৩০), দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) এবং কিরণ (২৬)- এই ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মনপুরা থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূকে মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তারা পলাতক।
গৃহবধূ জানিয়েছেন, তিনি তাঁর আড়াই বছরের শিশুকে নিয়ে মনপুরা যাওয়ার জন্য চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটে আসেন। মনপুরাগামী লঞ্চটি না পেয়ে নিরুপায় হয়ে স্পিডবোটে চড়েন। চার পুরুষ যাত্রী মিলে জোর করে স্পিডবোটটি চরপিয়াল এলাকায় থামায়। তাঁকে চরে নামিয়ে ধর্ষণ করে ওই চারজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.