সুকুমার সরকার, ঢাকা: জঙ্গি হামলার আশঙ্কার মধ্যেই বাংলাদেশে তুঙ্গে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। শারোদোৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালিত হয়, তা নিশ্চিত করতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। সোমবার পুলিশ বাহিনীর তরফে জারি করা এক ভিডিওয় এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেশের সব পুজোমণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হবে। গতকাল দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শকের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক ও হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আইজিপি বেনজির আহমেদ দুর্গাপুজোয় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, “এই দেশের মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভাবনা।” বৈঠকে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য ও বিট পুলিশ আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে পুজোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকার অনুরোধ জানান।
কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে পুজোমণ্ডপে? এই বছর গোটা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে পুজো হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দুর্গাপুজো উদযাপন পরিষদ। দেশের সব মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হবে। পুজোমণ্ডপে সর্বক্ষণের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থানের ব্যবস্থা থাকবে। পুজোমণ্ডপ ও বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো, আজান ও নমাজের সময় উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্য পুজো উদযাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে ইমার্জেন্সি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একের পর এক হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তারপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েকদিন আগেও ঢাকায় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.