Advertisement
Advertisement

কক্সবাজারে ভয়াবহ গুলিযুদ্ধ, নিকেশ দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত দম্পতি

আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের একাংশ।

Bangladesh police kills Rohingya bandit couple in gun fight
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 22, 2019 2:31 pm
  • Updated:September 22, 2019 2:32 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা। পুলিশের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষের পর নিহত হয়েছে এক দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত দম্পতি। নিহতদের নাম হচ্ছে দিল মহম্মদ (৩২) ও জাহেদা বেগম (২৭)।     

[আরও পড়ুন: খাবারের মেনুতে ‘নমো’ ছোঁয়া, হিউস্টনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এলাহি আয়োজন]

Advertisement

 পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।  টেকনাফ উপজেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি পাহাড়ে লড়াই বাঁধে পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার প্রদীপকুমার দাস জানান, গতকাল রাত সাড়ে ন’টার দিকে উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সি ব্লকে অভিযান চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখান থেকে অস্ত্র -সহ গ্রেপ্তার করা হয় দিল মহম্মদ ও জাহেদা বেগমকে। পরে তাঁদের জেরা করে পাশের পাহাড়ে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলতে শুরু করে ডাকাতরা।  ধৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে তার। পুলিশও  পালটা হামলা চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে মাঝখানে পড়ে দিল মোহাম্মদ ও জাহেদা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত ওই দম্পতিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।  

উল্লেখ্য, মাদক পাচার থেকে শুরু করে জেহাদি কার্যকলাপ। সবেতেই নাম উঠে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের একাংশ। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম তোলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশের দুর্নীতি দমন কমিশন৷

[আরও পড়ুন: একাধিক পুরুষের সঙ্গে সহবাসে চাপ, মা-সৎ বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ কিশোরী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement