Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh Violence

থানায় ঢুকে খুন! অভিযুক্তদের শাস্তি ও নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি বাংলাদেশ পুলিশের

আত্মসমপর্ণের আর্জি করেও লাভ হয়নি। রবিবার বাংলাদেশের এনায়েতপুরে থানায় ঢুকে রবিবার ১৪ জন পুলিশকর্মীদের খুন করে একদল। আক্রান্ত আরও প্রচুর পুলিশকর্মী।

Bangladesh Violence: Bangladesh police felt insecure, calls strike in demand for more security
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 6, 2024 4:58 pm
  • Updated:August 6, 2024 5:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারফিউ উঠেছে। বাংলাদেশে খুলেছে স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে বাংলাদেশ পুলিশ। মোট ৯ দফা দাবি সামনে রেখে এই কর্মবিরতি বলে খবর। বাংলাদেশ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তায় পুলিশের দেখা নেই। থানার পাশাপাশি রাস্তাঘাটও পুলিশশূন্য।

ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। কখনও আন্দোলনকারীদের পরাস্ত করতে ছুটেছেন উর্দিধারীরা। পুলিশের গুলিতে প্রাণও গিয়েছে। আবার পালটা পুলিশের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। রবিবার ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ওপার বাংলায়। তার মধ্যে এনায়েতপুর থানারই ১৪ পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, প্রাণ বাঁচাতে ঘাতকদের সামনে আত্মসমপর্ণ করতে চেয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের কাতর আর্জিতে সাড়া দেয়নি কেউ। পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে একই থানার ১৪ পুলিশ কর্মীকে। শুধু এনায়েতপুর না, বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত পুলিশ। থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সর্বত্র।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুর, ভয়ে কাঁটা হিন্দুরা! ‘বীভৎসতা’র প্রতিবাদে পরমব্রত-ঋদ্ধি ]

এর পরই মঙ্গলবার নিরাপত্তা ও অভিযুক্তদের শাস্তি-সহ ৯ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাঁদের দাবিগুলো হল:

১. পুলিকর্মীদের খুনে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২.নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও পরিবারের একজনকে সমপদে নিয়োগ করতে হবে।
৩.আহত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে দিতে হবে ওভার ডিউটির সুবিধা।
৫. শুক্র-শনি ও সরকারি ছুটির দিনে হয় ছুটি অন্যথায় অতিরিক্ত অর্থের দাবি।
৬. উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের ক্ষেত্রে সংবিধান ও জনগনের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া।
৭. পুলিশের সদর কার্যালয় থেকে শুরু প্রত্যেক থানা ও ফাঁড়িতে নিরাপত্তা।
৮.বৈষম্যহীন পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে কাছের জেলাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৯. পুলিশকর্মীরা যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তার জন্য পুলিশ আইন সংস্কার প্রয়োজন।

[আরও পড়ুন: ‘বিপ্লবকে কলঙ্কিত করবেন না…’ আর্জি বাঁধনের, বাংলাদেশ নিয়ে কী লিখলেন শাকিব খান?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement