ফাইল ছবি।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসছেন নরেন্দ্র মোদি। রবিসন্ধ্যায় তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। পুরনো ‘বন্ধু’ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবারই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার তিনি অনুষ্ঠানে থাকবেন। আর সোমবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকে কি এবার তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দিশা দেখা যাবে? সেদিকেই এখন তাকিয়ে সব মহল।
তিনদিনের সফরে ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির (New Delhi)বিমানবন্দরে তিনি নামেন। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা ও ভারতের বাংলাদেশীয় হাইকমিশনার মহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। রবিবার সন্ধ্যায় রাইসিনা হিলসে তিনি যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। তার পর রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ। রবিবারের মতো এটাই কর্মসূচি হাসিনার।
এর পর সোমবার নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর কূটনৈতিক সূত্রে। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংবাদমাধ্যমে জানান, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির মতো দীর্ঘদিন বাস্তবায়নের মুখ না দেখা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের আমদানি-রপ্তানিতে বিশেষ ব্যবস্থা, বাণিজ্য-সহ একাধিক নিয়ে মোদি-হাসিনার কথা হতে পারে বলে খবর। আর নয়াদিল্লির (New Delhi) তরফে মোংলা বন্দরটি ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের সদর্থক হস্তক্ষেপের দাবি উঠতে পারে।
এছাড়া শেখ হাসিনা আগামী কয়েকমাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত ও চিন সফরের কথা আছে। দেড় মাসের মধ্যে দুদেশে যাওয়ার কথা তাঁর। সেই সফরের দিনক্ষণ নিয়েও মোদির সঙ্গে হাসিনার কথা হতে পারে বলে খবর। তবে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকে নজর সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.