সুকুমার সরকার, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন শেখ হাসিনা। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন রুখে দিতে নানা চক্রান্ত করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই ধোপে টেকেনি। তাই পরিকল্পনা করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসিনা। তিনি বলেন, “অবৈধ মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া হোক।”
সদ্য জার্মানি সফর সেরে দেশে ফিরেছেন হাসিনা। শুক্রবার সেনিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসিনা বলেন, “সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য যারা অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে, বাজারের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদেরকে গণধোলাই দেওয়া উচিত। নির্বাচন ঠেকানোর নানা পরিকল্পিত চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তা করতে না পেরে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চক্রান্ত করে সরকারকে বিপদে ফেলতে চাওয়া হয়েছিল।” জানা গিয়েছে, জার্মানিতে থাকাকালীন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাসিনা।
অপর এক অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, “একটা আদর্শ নিয়ে না চললে কোনও দেশের উন্নতি করা যায় না। আর এই আদর্শ আমাদের শিখিয়েছে ২১শে ফেব্রুয়ারি। এই ২১শে ফেব্রুয়ারির মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগের ভিত্তিতে সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।” ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি, সেখানেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান রয়েছে। আজ মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন দেশ হিসাবে মর্যাদা পেয়েছি, তার সবকিছুতেই অবদান রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করা, এটা আমাদের দেশের একশ্রেণির মানুষ করত। এখনও দেখবেন, যা কিছু করা হয় কোনও কিছু তাদের ভালো লাগে না। তারাই আমাদের বদনাম ছড়ায় সব জায়গায়। তাদের কিছু ভালো লাগে না, এটাই হলো বড় কথা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.