Advertisement
Advertisement
Rohingya

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘নিষ্ক্রিয়’ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, নিউ ইয়র্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন হাসিনা

রাষ্ট্রসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার দিকে বিশ্বের নজর টানলেন প্রধানমন্ত্রী।

Bangladesh PM Sheikh Hasina brings Rohingya issue on international forum | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2021 1:30 pm
  • Updated:September 24, 2021 1:30 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের ফাঁকে এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: বাংলাকে আরও ইলিশ উপহার হাসিনার, সীমান্ত পেরিয়ে আসছে বাড়তি ২৫২০ টন ‘রুপোলি শস্য’]

২৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে ভাষণ দেবেন হাসিনা। তার আগেই রোহিঙ্গা সমস্যার দিকে বিশ্বের নজর টানতে সুর বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই ভাষণের প্রাক্কালে বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফরসিবলি ডিসপ্লেস মায়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস: ইম্পারেটিভ ফর আ সাসটেইনেবল সলিউশন’ শীর্ষক ভারচুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট আধিকারীকরা জানান, রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় এই সংকট তুলে ধরতে ঢাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এদিকে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (António Guterres)। 

Advertisement

আলোচনায় হাসিনা বলেন, “আমি বারবার বলেছি, রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক। সুতরাং, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মায়ানমারেই ফিরে যেতে হবে।” শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতএব, এ ব্যাপারে জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশে যা কিছু করছি, তা সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যা কিছু করা সম্ভব, তা অবশ্যই করতে হবে। এদিকে তারা নিজেরাও তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়।” একই সঙ্গে ন্যায়বিচার ও দেশে প্রত্যাবর্তনে ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দৃঢ় আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিপীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী প্রচার চালানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

এদিকে, রোহিঙ্গা বিরোধী তথ্য প্রকাশে ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকার একটি আদালত। মায়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী হিংসায় সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য মুক্তি দিতে ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের বিচারক। ওই তথ্যগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল ফেসবুক। এই খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা ও রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ফেসবুকের সমালোচনা করেন ওয়াশিংটন ডি.সি’র ওই বিচারক। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মায়ানমারের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্তে তদন্তকারীদের কাছে তথ্য হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হওয়ায় ফেসবুকের সমালোচনা করেন তিনি। এদিকে, তথ্য শেয়ার করতে অস্বীকার করেছে ফেসবুক। তারা বলছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনবিরুদ্ধ।

[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক হাসিনার, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement