সুকুমার সরকার, ঢাকা: কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বানভাসি বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন জেলা। উপকূলীয় এলাকাগুলিতে বর্ষার মরশুমে প্রতি বছরই ত্রাস হয়ে আসে নাগাড়ে বৃষ্টি। মঙ্গলবার প্লাবন বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। আর তারপরই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করলেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, বন্যা বিরোধী পরিকাঠামোয় আরও জোর দিতে হবে। তা নাহলে মানুষকে প্রতি বছর এমন নরক যন্ত্রণায় ভুগতে হবে, যা কাম্য নয়।
সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোণা-সহ একাধিক অঞ্চলের বন্যা (Flood) পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। দিনদিন তার আরও অবনতি হচ্ছে। চলতি বর্ষার মরশুমে বাড়তি বৃষ্টির জেরে। মঙ্গলবার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি ঢাকা (Dhaka) থেকে সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে আকাশপথে বন্যা বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন সিলেটের এডিসি দেবজিৎ সিংহ।
এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সেখান থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেন। হাসিনা বলেন, ”যখন বন্যা হয়, তখন আমাদের এত ভাবলে চলবে না। প্রতি বছর নদীমাতৃক বাংলাদেশে বন্যা হয়, মানুষকে জলযন্ত্রণা পোহাতে হয়। কিন্তু আমাদের পরিকাঠামো গড়তে হবে।” এ প্রসঙ্গে তিনি ‘এলিভেটেড রোড’-এর কথা বলেন। সেভাবে রাস্তা তৈরি করলে জল থইথই হলেও যাতায়াতে অসুবিধা হবে না। এছাড়া ড্রেজিংয়েও (Dredging) জোর দেওয়ার কথা বলেন হাসিনা। সারাবছর ধরেই ড্রেজিং করাতে হবে। নিজের ছোটবেলার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, সেসময় বহু নালা ছিল, যার মাধ্যমে জল না জমে বেরিয়ে যেত। কিন্তু এখন সর্বত্র নালা বুজিয়ে, শক্ত ভিত বানিয়ে বড় বড় ইমারত তৈরি হচ্ছে। তাই নিকাশী ব্যবস্থার এমন বেহাল দশা।
বাংলাদেশের ফেনি, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এলাকাতেও বন্যা পরিস্থিতি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যা মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত তারা। সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনার তরফেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষজনের নিরাপদ আশ্রয় ও ত্রাণ বিলিও হবে প্রয়োজনমতো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.