সুকুমার সরকার, ঢাকা: সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। রবিবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের কমিশন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাঁর সরকার পেশাদার ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক ও সময়োপযোগী যুদ্ধাস্ত্র (Weapons) সংগ্রহ করছে।
২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী (Army) গঠনের লক্ষ্যে হাসিনা সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তার বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকীকরণ, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার” প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি ২০১৮ প্রণয়ন করেছি। এরোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।’’
এছাড়া দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে হাসিনা (Sheikh Hasina)সরকার আরও কী কী কাজ করেছে, তা বিশদে জানান তিনি। সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং বরিশালে ৭ পদাতিক ডিভিশন তৈরি করা হয়েছে। গত ৪ বছরে বিভিন্ন ফরমেশনের অধীনে ৩টি ব্রিগেড এবং ছোট-বড় ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস এবং মিঠামইন, রাজবাড়ি ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস স্থাপনের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশনের ফরোয়ার্ড বেস এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে। হাসিনার কথায়, ‘‘আমরা সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্ত করেছি। প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’
শৃঙ্খলা এবং চেন অফ কমান্ড বজায় রেখে ক্যাডেটদের আগামীতে এগিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে পাসিং আউট ক্যাডেটদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দেন, তাঁর উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, “আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসাবে আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সৎ পথে থেকো, মাতৃভূমিকে ভালবেসো। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবা, গুরুজনকে মেনো, শৃঙ্খলা রেখো, তা হলে জীবনে মানুষ হতে পারবা।” বাবার সেই কথা স্মরণ করে মুজিবকন্যা হাসিনা বলেন, ‘‘এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমি আশা করি, আমাদের নবীন ক্যাডেটরা এ কথা মনে রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.