Advertisement
Advertisement

Breaking News

ত্রিপুরাকে ফেনী নদীর জল দেবে বাংলাদেশ, ঘোষণা হাসিনার

ত্রিপুরায় এলপিজি সিলিন্ডার রপ্তানি নিয়েও চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসিনা।

Bangladesh PM promises Feni River water to Tripura

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 10, 2019 9:30 am
  • Updated:October 10, 2019 9:30 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী সাবরুম এলাকায় ফেনী নদীর জল দেবে বাংলাদেশ। বুধবার ঢাকায় গণভবনে নিজেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গতমাসে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তারপরেই তিনি ভারত সফরেও এসেছিলেন। দেশে ফেরার পর এদিনই তিনি তাঁর সফর নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

[আরও পড়ুন: ঢাকায় বানচাল বড়সড় নাশকতার ছক, গ্রেপ্তার লাদেন ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা]

Advertisement

এদিন হাসিনা বলেন, কেউ খাবার জল চাইলে তা না দিলে কেমন দেখায়! তিনি জানান, ফেনী নদীর উৎপত্তি খাগড়াছড়িতে। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি নদী। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। ত্রিপুরার সাবরুম এলাকার মানুষ পানের জন্য ভূ-গর্ভের জল তোলে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। তাই সামান্য জল তাদের দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “ভারতের ওই অঞ্চলে পানীয় জল দেওয়ার জন্য দিল্লির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যে পরিমাণ জল দেওয়া হচ্ছে, তা অতি নগন্য। কেউ যদি খাওয়ার জল চায়, আর আমরা না দিই এটা কেমন দেখায়! আমাদের তো আরও সীমান্তবর্তী নদী আছে। সেটাও তো আমাদের চিন্তা করতে হবে।”

এছাড়াও ত্রিপুরায় এলপিজি সিলিন্ডার রপ্তানির ব্যাপারেও দিল্লি-ঢাকা চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা যে গ্যাসটা দিচ্ছি তা এলপিজি বা বটল গ্যাস। যা আমরা আমদানি করছি এবং নিজেদের দেশে সরবরাহ করছি, তা থেকেই কিছুটা ত্রিপুরাকে দেওয়া হবে।
আগেই ভারত তিস্তার জলের ভাগ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোয় হাসিনা সরকারকে দেশে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এরপরেও সরকার ফেনী নদীর জল ও এলপিজি ভারতকে দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে। এদিন হাসিনা বলেন, ভারতকে গ্যাস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধী দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। ২০০১ সালে দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করার জন্য আমেরিকার কিছু সংস্থা তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ২০০১ সালে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারেননি তাঁরা। বিএনপি-জামাত জোট গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ওই বছর ক্ষমতায় এসেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে হাসিনা বলেন, “ত্রিপুরা কিছু চাইলে আমাদের দিতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে অনেকে ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ত্রিপুরার মানুষ তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটা ঘাঁটি ছিল। ত্রিপুরা বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটা শক্তি ছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক সব আছে, থাকবে।” অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়া নিয়ে হাসিনা বলেন, “বিশ্বে যত বন্দর আছে তা সব দেশ নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে। কেউ বন্দর বানিয়ে একা ব্যবহার করে না।”

[আরও পড়ুন: ছ’মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার ৪৯৬ জন শিশু! সমীক্ষা রিপোর্টে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement