ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানী ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে সোমবার ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বার্তা দেন হাসিনা। তিনি বলেন,’বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।’
এদিন ‘গণভবন’ থেকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “যে কোনও ধর্মীয় উৎসবের আয়োজনে সরকার প্রতিবছরই সহযোগিতা করে থাকে। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা ২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্ম কল্যাণ স্ট্রাস্টে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মানুষের সেবা করার জন্যই রাজনীতি করতেন। মানুষ যেন দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায়, সেজন্য তিনি কাজ করেছেন।” এদিন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী সমস্ত মানুষকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান হাসিনা।
প্রসঙ্গত, বিএনপি ও জামাত জোটের আমলে বাংলাদেশে বরাবর বিদ্বেষের শিকার হয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা। আক্রান্ত হয়েছেন হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে ক্ষমতায় এসে মৌলবাদীদের কোমর ভেঙে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছেন তিনি।
এদিকে, বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে বিশেষ নজরদারি। যে কোনও নাশকতা বা অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা বিফল করতে তৎপর পুলিশ ও প্রশাসন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি গির্জায় সাদা পোশাকের পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি চার্চে মূল দরজা দিয়ে দর্শনার্থীদের ঢুকতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও প্রবেশের আগে শরীর তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা। গির্জার এলাকাগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকবে। গির্জার আশপাশে কোনও দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনও প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.