Advertisement
Advertisement

করোনায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিস্থিতি সামলাতে প্যাকেজ ঘোষণা হাসিনার

৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প‌্যাকেজ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Bangladesh PM Hasina announces pacjakge to fight corona

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 6, 2020 8:41 am
  • Updated:April 6, 2020 8:41 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে সারা বিশ্বে যে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং তার জন‌্য বাংলাদেশের অর্থনীতির উপরে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেই অবস্থা মোকাবিলা করতে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প‌্যাকেজ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

[আরও পড়ুন: চিনের পরীক্ষাগারেই তৈরি হয়েছে করোনা! আমেরিকার পর সরব ব্রিটেনও]

রবিবার রাজধানী ঢাকার গণভবন থেকে হাসিনা বলেন, “এর আগে আমি রপ্তানি সংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার জন‌্য ৫ হাজার কোটি টাকার প‌্যাকেজ ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু এবার আমি চারটি ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে জোয়ার আনতে নতুন প‌্যাকেজ ঘোষণা করলাম।” শনিবার মোট ন’জন আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ‌্যা ৭০ ছুঁতেই আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে গণপরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে হাসিনা সরকার। এদিন হাসিনা ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা বাংলাদেশের জিডিপির ২.৫২ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্বঘোষিত ও এই নতুন প‌্যাকেজ যত তাড়াতাড়ি বণ্টন হয়ে যাবে তত তাড়াতাড়ি আমরা আমাদের লক্ষ‌্যমাত্রায় নির্ধারিত আর্থিক বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারব।”

Advertisement

এই নতুন প্যাকেজে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টর, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন ঋণ সুবিধা, রপ্তানি শিল্প উন্নয়নমূলক তহবিলের (ইডিএফ) সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম চালুর ঘোষণা করেন। অতি শীঘ্রই তাঁর সরকার এই প্রকল্পগুলিতে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কাজ চালু করবে বলে জানান। প্রথমে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল করা হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি এই সংস্থাগুলিকে তাদের নিজেদের তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক‌্যাপিটাল হিসাবে ঋণ দেবে। এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এর মধ্যে ঋণগ্রহীতা শিল্প সংস্থা সুদের ৪.৫ শতাংশ পরিশোধ করবে। বাকিটা সরকার ভরতুকি হিসাবে সেই ব‌্যাঙ্ককে দেবে। অন‌্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলিকে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক‌্যাপিটাল দিতে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়া হবে। এক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলি তাদের তহবিল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসাবে ঋণ দেবে। সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। ঋণগ্রহীতা সংস্থা সুদের ৪ শতাংশ শোধ করবে। বাকি ৫ শতাংশ দেবে সরকার।

[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুহারে ইটালির পরেই বাংলাদেশ, বলছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement