ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বজুড়ে মহামারীর করোনা প্রতিরোধে চিন তাদের উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশে পরীক্ষার যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা নিয়ে এবার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশকে (আইসিডিডিআরবি) চিন থেকে টিকা আনার অনুমোদন দেয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ পরীক্ষার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তেমন আগ্রহী নয়। তবে অন্য দেশের উদ্ভাবিত টিকা পাওয়ার ব্যাপারে সরকার দৌঁড়ঝাপ করে যাচ্ছে। দেশে করোনা প্রতিরোধে টিকার ট্রায়াল, টিকা উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে টিকা আনা নিয়ে আলোচনা চলছে তিন মাস ধরে। পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত টিকা উদ্ভাবনের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় টিকা উৎপাদনেরও প্রস্তুতি নিয়েছে।
অন্যদিকে, জুন মাসের শেষ দিকে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ আাধিকারিক টিকার ট্রায়াল বিষয়ে প্রতিবেদন করার সময় গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি ভারত ও চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে বলেছিলেন। অবশ্য চিনের বেসরকারি কোম্পানি সিনোভেকের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আইসিডিডিআরবি। আইসিডিডিআরবি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) কাছ থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু ট্রায়াল পরিচালনার জন্য এই অনুমোদন যথেষ্ট নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত ১৯৯টি টিকা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে ১৯টি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে এসেছে। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনিকা, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, চিনের উহান ইনস্টিটিউট এবং সিনোভেকের টিকা। এই টিকাগুলো কতটা নিরাপদ ও কতটা কার্যকর, তা দেখার জন্য তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার কার্যকারিতা দেখা হয় ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ বজায় আছে এমন পরিস্থিতিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.