সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অন্য মাত্রা পেয়েছে ব্যাংক জালিয়াতি। বিদেশ থেকে কলকাঠি নেড়েই এবার দেশটির এটিএম খালি করে দিচ্ছে জালিয়াতরা। তাদের সঙ্গে ব্যাংককর্মীদের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগও সামনে এসেছে। তদন্তে উঠে আসছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: মাদক অভিযানে তৎপর পুলিশ, বাজেয়াপ্ত তিন ইয়াবা কারবারির বাংলো]
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে ঘটা ব্যাংক ও এটিএম জালিয়াতির উৎস ইউক্রেন। সেখান থেকেই ‘অপারেশন’ চালাচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক চক্র।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএমগুলিই এই জালিয়াতদের বিশেষ নিশানা হয়ে উঠেছিল। জালিয়াতরা এটিএম বুথে ঢুকে ইউক্রেনে থাকা হ্যাকারদের মাধ্যমে বুথের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতো। কোড হ্যাক করে ফেলায় বুথের নিয়ন্ত্রণ চলে যেত জালিয়াতদের হাতে। এরপর ক্লোন করা কার্ডের মাধ্যমে সমস্ত টাকা বের করে মিলিয়ে যেত তারা। এদের সদস্যরা প্রত্যেকেই সাইবার প্রযুক্তির ‘ডার্ক মার্কেটের’ সঙ্গে যুক্ত। ফলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসে কম্পিউটারের ‘ফায়ার ওয়াল’ ভেঙে তা হ্যাক করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে এসের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।আন্তর্জাতিক আইনের ফাঁদে পড়ে অনেক সময় এদের লোকেশন জানতে পারলেও আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তাদের কাছে খবর পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে নিতে ‘পাখি’ পালিয়ে যায়।
কয়েকদিন আগেই খিলগাঁও থানার তালতলা মার্কেটের বিপরীতে ডাচ-বাংলা বুথে চেহারা আড়াল করে হানা দেয় দুই ব্যক্তি। তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় দুজনকে পাকড়াও করার চেষ্টা করে এটিএমটির সিকিউরিটি গার্ড। এরপর স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে ডেনিস ভেতোমস্কি নামের এক বিদেশিকে পাকড়াও করে তাঁরা। ধৃত ইউক্রেনের নাগরিক বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপর পুলিশ, ডিবি ও সিআইডির একটি যৌথ দল ডেনিসকে নিয়ে পান্থপথের ওলিও ড্রিম হোটেলে অভিযান চালায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও পাঁচ ইউক্রেনীয় নাগরিককে। ধৃতদের কাছ থেকে ম্যাগনেটিক কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল, ট্যাব-সহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের এটিএমগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: ব্রেক্সিট উত্তাপে ফুটছে ব্রিটেন, পরিস্থিতি সামলে ট্রাম্পকে অভিনব উপহার মে-র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.