Advertisement
Advertisement

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাতে গঠন ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’

ফের 'আতঙ্কের দেশে' ফিরতে নারাজ শরণার্থীদের একাংশ।

Bangladesh-Myanmar working group to oversee return of Rohingyas
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 20, 2017 3:10 pm
  • Updated:July 11, 2018 3:16 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা আট লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মায়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব হয়েছে। ফলে চাপের মুখে পড়ে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে অবশেষে উদ্যোগী হয়েছে সু কি সরকার।

[সু কি’র নির্দেশেই রাখাইনে ৩৫৪টি গ্রাম পুড়িয়েছে সেনা, অনুমান রাষ্ট্রসংঘের]

Advertisement

রক্তাক্ত রাখাইন প্রদেশ থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েক কয়েক লক্ষ্য শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করেছে বাংলদেশ ও মায়ানমার। মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ আলি সাংবাদিকদের জানান, দুই দেশের বিদেশ সচিবের নেতৃত্বে ১৫ জন করে আধিকারিককে নিয়ে মোট ৩০ সদস্যের এই গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। তবে এই গ্রুপ কবে থেকে কাজ শুরু করবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দু’দেশের সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের ২৫ দিনের মাথায় মায়ানমারের বিদেশ সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ঢাকা পৌঁছায়। বৈঠকে তিনি নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশসচিব শহিদুল হক। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাঁদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু এবং তাদের পুনর্বাসন এবং নিজেদের এলাকায় নতুন করে জীবনযাপন শুরুর ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপকে।

[‘মোদি বৃদ্ধ হয়েছেন, ওঁর এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া উচিত’]

শরণার্থীদের ফেরাতে ঢাকা ও নাইপিদাও উদ্যোগী হলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শরণার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, মায়ানমারে তাঁদের অধিকার খর্ব হবে। ফের তাঁদের উপর নৃশংস হামলা চালাতে পারে বার্মিজ সেনা। তাই রাখাইনে নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হওয়ার পরই সেখানে ফেরত যেতে চান শরণার্থীরা। মায়ানমারে গত ২৫ আগস্ট পরবর্তী হিংসার জেরে রাখাইন রাজ্যের মোট ৩৫৪টি রোহিঙ্গা গ্রাম ভস্মীভূত করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মায়ানমারের নেত্রী সু কি-র নির্দেশেই রোহিঙ্গা গণহত্যায় মেতে ওঠে মায়ানমারের সেনা, এমনটাই অনুমান রাষ্ট্রসংঘের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement