Advertisement
Advertisement
পরীক্ষায় টুকলি

স্নাতক হতে আটজন ডামি পাঠিয়ে টুকলি, ধরা পড়ল বাংলাদেশের সাংসদ

১৩টি বিষয়ের জন্য নিজের মতো দেখতে আটজন মহিলাকে জোগাড় করেছিলেন তিনি।

Bangladesh MP hires 8 proxies to sit for her 13 exams

তামান্না নুসরত বাবলি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 24, 2019 4:24 pm
  • Updated:October 25, 2019 11:06 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পরীক্ষায় পাশ করতে অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্য নেয়। কেউ পড়াশোনা করে সোজা পথে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে তো কেউ টুকলি করে পেরোয় পরীক্ষার বৈতরণী। তবে বাংলাদেশের এক মহিলা সাংসদ যা করেছেন তা আগে কেউ করেছে বলে মনে হয় না। স্নাতক হতে ১৩টি বিষয়ের জন্য আটজন ডামিকে পরীক্ষা বসিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বহিষ্কৃত হতে হয়েছে তাঁকে। বাতিল হয়েছে রেজিস্ট্রেশনও। শাসকদল আওয়ামি লিগের ওই সাংসদের নাম তামান্না নুসরত বাবলি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের পাশাপাশি আওয়ামি লিগের অন্দরেও ওই সাংসদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। সমালোচনায় সরব হয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট মানুষরাও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে তাঁর সাংসদ পদটাও থাকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।  

[আরও পড়ুন: নুসরত হত্যা মামলায় বাংলাদেশে ১৬ জনকে ফাঁসির সাজা]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পাশ এই সাংসদ স্নাতক হতে চেয়েছিলেন। তাই বাংলাদেশ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনাও শুরু করছিলেন তিনি। কিন্তু, ডিগ্রি পেতে পরীক্ষা বসতে চাননি। তার বদলে মোট ১৩টি বিষয়ের জন্য অনেকটা নিজের মতো দেখতে আটজন মহিলাকে জোগাড় করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে একটি বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ধরা পড়ে একজন। তাকে আটক করে কেন তিনি অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন তা জানতে চাওয়া হয়। তখনই ওই মহিলা নিজেকে তামান্না নুসরত বাবলি বলে দাবি করে। কিন্তু, তার কাছ পরীক্ষায় বসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র চাওয়া হলেও তা দিতে পারেনি সে। দাবি করে, সে তামান্না নুসরত বাবলি। তার পরিচয়পত্রটি হারিয়ে গিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ জানানোর একটি কাগজও দেখায়। কিন্তু, তার সেই দাবি মানতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তারপরই উদ্ধার হয় আসল সত্য। জানা যায়, ওই মহিলার মতো আরও সাতজনকে নিজের জায়গায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জোগাড় করেছিলেন শাসকদলের সাংসদ।

Advertisement

[আরও পড়ুন:পুলিশ সুপারের ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক, ছড়াল বিতর্কিত ধর্মীয় পোস্ট]

বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ হতেই বাংলাদেশ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ওই সাংসদকে। বাতিল করা হয় তাঁর রেজিস্ট্রেশনও। বিষয়টির জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয় শাসকদল আওয়ামি লিগকেও। আর তারপরই স্বয়ং শেখ হাসিনা নিজে এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement