Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

ডিভোর্সি পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন, নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিল অভিযুক্ত

হিন্দু-মুসলিম দুটি নাম নিয়েই বিজ্ঞাপন দিত অভিযুক্ত।

Bangladesh man arrested of fraud case with women by proposing to marry hiding his own identity | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 23, 2021 5:48 pm
  • Updated:December 23, 2021 6:27 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রতারণার জাল বিছোতে নিজেকে সিনিয়র সহকারী সচিব বলে সব জায়গায় পরিচয় দিচ্ছিল। কিন্তু বিধি বাম! বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের জালে ধরা পড়ে এখন তার ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। ওই প্রতারকের বিজ্ঞাপনের ভাষা ছিল, ‘স্ত্রী মৃত। উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। বিধবা অথবা ডিভোর্সি সুদর্শনা পাত্রী চাই।’ আগ্রহীদের বলা হয়, সুবিধাজনক জায়গায় বদলির জন্য দরকার টাকা। বিসিএস কর্মকর্তা, নিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক নারীই ইমাম শাহজাদা নামের ওই প্রতারকের অভিনব ফাঁদে পা দিয়ে হারিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

৩০-তম বিসিএসে (CDS) প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আর বিয়ে করা হয়নি প্রতারক জহিরুল হকের। আবার হিন্দু হিসেবে নিজেকে জাহির করে নাম বদলিয়ে হন অসীম কুমার সরকার। এরপর যোগ্য পাত্রীর সন্ধানে হিন্দু-মুসলিম দুই নাম ধারণ ধরে নিয়মিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জেহাদের ছায়া, এবার রোহিঙ্গা শিবিরে নিজস্ব মুদ্রা চালু করেছে জঙ্গি সংগঠন আরসা]

গোয়েন্দারা ধরার পর আবিষ্কার হয় তার নাম আসলে ইমাম শাহজাদা। লেখাপড়ার দৌড় মাধ্যমিক পর্যন্ত। মুসলমান পাত্রীদের জন্য তিনি জহিরুল হক আর হিন্দু পাত্রীদের জন্য অসীম কুমার সরকার নামে বিজ্ঞাপন দিতেন। নিজেকে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বলে পরিচয় দিতেন। এক ডিভোর্সি (Divorce) নারী বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন এই সচিবের সঙ্গে। বিয়ের কথাবার্তাও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ঠিক তখনই শাহজাদা জানায় নীলফামারিতে তার বদলির আদেশ হয়েছে। বদলি ঠেকাতে ওই নারীর কাছ থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে বন্ধ করে দেন যোগাযোগ। সেই নারী জানান, ”তার কথা শুনে আমার বিশ্বাস হয়েছে যে সে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। টাকাটা আমাকে অবশ্যই ফেরত দেবে বলে নিয়ে গিয়েছে। ওইদিন রাতে আবার ছ’ লক্ষ টাকা চেয়েছে।”

[আরও পড়ুন: মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে ৪২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা আমেরিকার]

পুলিশ বলছে, বিজ্ঞাপন দেখে যারাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের সবার কাছ থেকেই সে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন নারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মো. হারুণ অর রশিদ বলেন, ”বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে ডিভোর্সি নারীদের বিয়ে করতে চান। এই সুযোগ নিয়ে অনেক নারীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ টাকা নিয়ে সে জুয়া খেলে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে।” এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement