Advertisement
Advertisement
মাদ্রাসা

মাদ্রাসায় পাশবিক লালসার শিকার ৪ ছাত্রী, গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠাতা ‘বড় হুজুর’

মাদ্রসায় ধর্ষণের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া হাসিনার।

Bangladesh madrasa founder arrested for raping 4 students
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 28, 2019 10:07 am
  • Updated:July 28, 2019 10:09 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের চার ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও ‘বড় হুজুর’ নামেরিচিত মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাব।

[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই, ঢাকায় ধৃত ৩]

Advertisement

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইঘড়ে দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। উদ্বিগ্ন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এ বিষয়ে তাঁর সরকার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। হাসিনা বলেন, “এই ধরনের জঘন্য নোংরা কাজ যারা করে, তারা মানুষ নয়। ধর্ষণের ঘটনা রুখতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করছি। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার হলে সরকার তাই করবে। এখন এই ধরনের ঘটনা রুখতে মহিলারা এগিয়ে আসছেন। তবে পুরুষদেরও এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনা অনেক সময় চাপা পড়ে থাকে। তবে এখন মেয়েরা সাহস করে কথা বলে। একটা সময় সামাজিক লজ্জার কারণে বলতে পারত না।”

সম্প্রতি ঢাকার উয়াড়িতে ধর্ষণের পর খুন করা হয় সাত বছরের সায়মাকে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, “অপরাধীকে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে। জেরার পর সে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে। এখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আমি মনে করি দেশের পুরুষ সমাজেরও একটা আওয়াজ তোলা উচিত, কিছু করা উচিত। খালি মহিলারাই চিৎকার করে যাবে নাকি? নির্যাতিত হয়েও তারা চিৎকার করবে, আর পুরুষরা চুপ থাকবে? নির্যাতনকারীর স্বজাতি হিসেবে পুরুষদেরও এ ব্যাপারে সরব হওয়া উচিত।”

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ছ’বছর আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইঘড়ে দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে মোস্তাফিজুর রহমান। সে মাদ্রাসায় ‘বড় হুজুর’ হিসাবে পরিচিত। মাদ্রাসাতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করে মোস্তাফিজুর। তার বাড়ি নেত্রকোনায়। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। র‌্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, কয়েকজন অভিভাবকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। ইতিমধ্যে চারজন মাদ্রাসা ছাত্রীর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাছাড়া তার মোবাইলেও বেশ কিছু রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জের, মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় নাজেহাল কক্সবাজারবাসী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement