Advertisement
Advertisement
lockdown

৩০ মে থেকে লকডাউন উঠছে বাংলাদেশে, সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ।

Corona outbreak: Bangladesh lifts lockdown on 30th may

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 28, 2020 2:01 pm
  • Updated:May 28, 2020 2:03 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানুষের দু:খ-দুর্দশা ও অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে সরকার সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। এর পাশাপাশি সীমিতভাবে বাস, বিমান, রেল ও লঞ্চের মতো গণ পরিবহণ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে একথা জানান বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। সাত দফা বাড়ানোর পর এই ছুটি শেষ হচ্ছে ৩০ মে।

তার আগে দুপুরে তিনি জানিয়েছিলেন, ৩০ মে’র পর থেকে সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে এই সময়ে বাস, রেল ও লঞ্চ-সহ সবধরনের গণ পরিবহণ বন্ধ থাকবে। তবে বিমান সংস্থাগুলি পরিষেবা চালু করতে পারবে। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণ চালুর ব্যাপারে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঢাকার হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত্যু ৩ করোনা আক্রান্ত-সহ পাঁচজন রোগীর ]

পরে বিকেলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন জেলায় বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল ৩১ মে থেকেই চালু করা হবে। বিভিন্ন জেলায় গণ পরিবহণ মাধ্যমগুলি যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে পারবেন। ‘সীমিত’ বলতে বোঝানো হয়েছে, গণ পরিবহণ চললেও তা নিয়ন্ত্রিতভাবে চলবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি থাকবে। তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চলবে। এবার গণ পরিবহণ বলতে বাস, রেল ও লঞ্চ চলাচল বোঝানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিমান চলাচল চালুরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল শুরু করতে পারবে। ব্যক্তিগত পরিবহণ চলবে। তবে বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা কর্মস্থলে যোগদান থেকে বিরত থাকবেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা ১৩টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করবেন। সভা-সমাবেশ বা জমায়েত বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নমাজ ও ধর্মীয় প্রার্থনা চলবে। তিনি জানান, রাত আটটা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত মানুষজনের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই সময়ে অকারণে বাইরে বের হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের দোকানপাট সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আমফানের ক্ষত না শুকোতেই ফের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, বাংলাদেশে মৃত ৯]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement