সুকুমার সরকার, ঢাকা: সংবর্ধনা সভায় এক তরুণীকে জাপটে ধরে সমালোচনার মুখে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম। সদ্য উপজেলা নির্বাচনে জয়ী কালামকে মালা পড়িয়ে সংবর্ধনা জানাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয় ম্রো জনগোষ্ঠীর তরুণী রুমপাও ম্রো।
সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম। দলীয় নির্দেশ না মেনেই এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তারপরই ৩ মার্চ তাঁকে বহিষ্কার করে খালেদা জিয়ার দল। তবে দল পাশে না দাঁড়ালেও ওই এলাকা থেকে জয়ী হয়েছেন কলাম। গত শনিবার, আলীকদমের মিরিনচর পাড়ায় তাঁকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে রুমপাও ম্রো নামের ওই তরুণী কালামকে ফুলের মালা পরাতে গেলে তাঁকে জাপটে ধরেন তিনি। ওই অবস্থায় চলে একের পর এক ছবি তোলা। ওই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলি পোস্ট করে বিপাকে পড়েছেন কালাম। পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিগুলি। একজন জনপ্রতিনিধির এহেন আচরণে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন নেটিজেনর। আছড়ে পড়ে সমালোচনার ঢেউ। আলীকদম উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কাইনথপ ম্রো বলেন, “ওই ছবিগুলি কালাম নিজেই প্রকাশ করেছেন। এটা ঠিক হয়নি, এতে ম্রো জাতির সম্মানহানি হয়েছে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কালামের এহেন কাণ্ড নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালের ৯ জুন আলীকদম উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কালামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক দুংরী মং মার্মা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিনের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কালামকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার আলীকদম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজন। বিচারের দাবিতে জেলাশাসকের কাছে লিখিত আরজি দেন তাঁরা। আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রফিকউল্লাহ জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনও তরুণী বা কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কালামের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন কালাম।
[আরও পড়ুন: ভোট কিনতে মদ নয়, কমিশনের নির্দেশে বন্ধ কয়েকশো ওয়াইন শপ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.