ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধে স্রেফ সহযোগিতা করেছিল ভারত। বিজয় দিবসে এমনটাই দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সোমবার বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনার বীরত্ব এবং আত্মবলিদান স্মরণ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে ধরে তোপ দাগেন বাংলাদেশের আইনি উপদেষ্টা।
সোমবার বিজয় দিবসের ভাষণ দিতে গিয়ে একবারও ভারত এবং ভারতীয় সেনার অবদানের কথা উল্লেখ করেননি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। এবার তাঁর উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্যতম আসিফ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে পুরোপুরি অস্বীকার করে বসলেন। মোদি ভারতীয় সেনার প্রশংসা করেছেন বলে সেই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনি উপদেষ্টা। উল্লেখ্য, মোদির পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাও।
ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বরকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার পোস্ট করেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাঁদের নিঃস্বার্থ বলিদান ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাঁদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার অবদানকে নস্যাৎ করে দিয়ে আসিফ জানান, মোদির এমন পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করছেন তিনি। ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘তীব্র প্রতিবাদ করছি। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। ভারত ছিল এই বিজয়ের মিত্র, এর বেশি কিছু নয়।’ উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাতের বক্তব্যেও ভারতকে তুচ্ছ করার এই সুরই ছিল। তাঁর দাবি, মুক্তিযুদ্ধ ছিল স্বাধীনতা চেয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংগ্রাম। সেই যুদ্ধের কৃতিত্ব চেয়ে ভারত ‘হুমকি’ দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.